"(উম্মতের ফিকিরে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর তায়েফ গমন) মহানবী সা. প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরুর পর তার ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করে কুরাইশরা। কুরাইশদের নির্যাতনের সময় ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন চাচা আবু তালিব ও নবীজির সহধর্মীনী হজরত খাদিজা রা.। তারা মহানবী সা.-কে মানসিকভাবে অভয় ও আশ্বাস বাণী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন সবসময়। তাদের ইন্তেকালের পর কুরাইশদের নির্যাতন বেড়ে যায়। এসময় রাসূল সা. মক্কা থেকে ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত তায়েফ গমন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আজাদকৃত গোলাম ও পালকপুত্র জায়িদ ইবনে হারিসা রা.। আশা করেছিলেন তায়েফের লোকেরা হয়তো ইসলাম গ্রহণ করবেন।…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউহুদ যুদ্ধের এক সাহাবির ঘটনা তার নাম হুযাইফা(র:) উহুদ যুদ্ধের সময় মদিনায় পরিখা খনন,অবরোধ ক্লান্তি সবাই নিশ্চুম এক হিমশীতল রাত বাহিরে প্রচণ্ড ঠান্ডা সারদিন ধকলের পর সবাই ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর সেই মুহুর্তে হযরত (স) সাহাবিদের ডাকলেন শত্রু শিবিরের একেবারে ভেতরে গিয়ে খবর নিয়ে আসার জন্য। তিনি সবাইকে বললেন কে আছে যে আমাকে শত্রুর ব্যাপারে তথ্য এনে দেবে।যে এই কাজ করবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে আমার সাথে স্থান দেবেন। চারিদিকে পিন পতন নিরবতা আল্লাহু রাসুলয়(স) আবার ডাকলেন তারপর আবার সাধারণত ভালো কাজের সুযোগ পেলে সবাই লুফে নিতেন আল্লাহর রাসূলের আদেশ মানতে…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের প্রতি নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর ফিকির সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতায়ালার এবং অসংখ্য দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মোহাম্মদ (স.) এর ওপর ও তার পরিবার গণের ওপর। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। উম্মতের প্রতি নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ছিল অতুলনীয় ভালোবাসা। সর্বদা তিনি তার উম্মতদের জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন থেকে রক্ষা করার চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। উম্মতেরপ্রতি মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসার কথা বর্ণনা করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নতায় কষ্ট পান, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ফিকির। একজন ওয়াহশী ওয়াহশী!! হ্যাঁ,সেই ওয়াহশীর কথা বলছি, যিনি ওহুদের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (স.)এর প্রিয়তম চাচা হযরত হামজা(রা)কে শহীদ করেছিলেন। মর্মান্তিক এই শাহাদাত এর ঘটনা ওয়াহশীর কুখ্যাতিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। অবশ্য পরবর্তী জীবনে ইসলামের সুশীতল ঝান্ডাতলে আশ্রয় নিয়ে শামিল হয়েছিলেন সাহাবায়ে কেরাম এর নূরানী কাফেলায়। কিন্তু কিভাবে ফিরে আসতে পেরেছিলেন ওয়াহশী!! কোন লাভ অথবা লোভের আশায় নবীজি (স) ক্ষমা করে দিলেন আপন চাচার হত্যাকারী ওয়াহশীর মতো দুর্ধর্ষ খুনীকে? পৃথিবীর ইতিহাসে এইরকম আরেকটি ঘটনা এ যাবত ঘটেছে বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।ইসলামের এই ক্ষমাশীলতার পেছনে রয়েছে গোটা মানব জাতির ইহ -পারলৌকিক…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনএক অত্যাচারী কাফের রাজার ছিল এক বিশেষ জাদুকর।রাজা তার কাজকর্মে সেই জাদুকরের সাহায্য গ্রহণ করত।সেই যাদুকর যখন বৃদ্ধ হয়ে গেল,তখন রাজাকে বলল, আমার কাছে কোন এক বালককে পাঠিয়ে দিন। আমি তাকে জাদুবিদ্যা শিখিয়ে দিয়ে যাব।যাতে আমার মৃত্যুর পর সে আপনার কাজে আসে।রাজা একটি বালক নির্বাচন করল।বালকটি নিয়মিত জাদুকরের কাছে আসা-যাওয়া শুরু করলো। তার যাতায়াত পথে একজন তাওহীদে বিশ্বাসী আবেদের ইবাদাতখানা ছিল।বালকটি সেই আবেদের কাছে বসত এবং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতো।সে সব কথা বালকটিকে বড় আকর্ষণ করতো।এক পর্যায়ে বালকটি তাওহিদে বিশ্বাসী হয়ে গেল।এই খবর ঘটনাক্রমে রাজার কানে পৌঁছল,রাজা ভীষণ ক্ষিপ্ত…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনপৃথিবীতে আমাদের যদি কেউ সত্যিকার অর্থেই ভালোবেসে থাকেন। তা কেবল এবং কেবলমাত্র আমাদের প্রাণ প্রিয় মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি কেবলমাত্র এই আমাদের জন্য কাফের মুশরিকদের জন্য হাজারো কষ্ট সহয় করেছেন। আমাদের জন্য তার রক্ত ঝড়েছে, আমাদের জন্যই তিনি অঝরে অশ্রু ফেলেছেন। তিনি ব্যকহল হয়ে রবের কাছে আমাদের জন্য ফরিয়াদ করেছেন। তিনি এতোটাই ভালোবাসতেন আমাদের যে, সকল নবী রাসূল হাসরের ময়দানে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি বলে কান্না করবেন সেখানে আমাদের জন্য মহান রব্বুল আলামীন এর দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে তিনি বলবেন ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি। দুনিয়ার বুকে রাসূল সাঃ উম্মতের…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনআসসালামু আলাইকুম। আল্লাহর রহমতে আমার কাছ থেকে দেখা একটি ঘটনা বলছি- সময়টা ছিল ২০২২ সালের শেষের দিকে ইন্টার শেষ হওয়ার পরে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে ক্লাসে গিয়ে দেখতে হলো সবাই মর্ডান ড্রেসে কিন্তু তাদের মাঝে যখন পর্দা সমেত ক্লাসে প্রবেশ করি বেশিরভাগ বোন বাকা নজরের আমার দিকে তাকাতে লাগলো তাই একাই গিয়ে সিটে বসলাম।এর কিছু সময় পরে একটা মর্ডান বোরকা পরিহিতা বোন এসে আমার সাথে বসার অনুমতি চাইলো আমি বসার অনুমতি দিলাম সালাম দিয়ে ক্লাস চলাকালিন সময় নজর হেফাজতের জন্য স্যারের দিকে আমি তাকালাম না সেটা আমার সেই বোন খেয়াল…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনএকবার এক বুজুর্গ আলেম তাঁর এক মুরিদকে (শিষ্য) নিয়ে মসজিদে বসেছিলেন। সেই সময় একজন সাধারণ মুসলমান এসে তাঁর সামনে বসে বলতে শুরু করলো, "হুজুর, আমার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। পরিবারের মধ্যে অশান্তি, ব্যবসায় ক্ষতি, এবং জীবনে শান্তি নেই। আমি কী করতে পারি?" আলেম হুজুর কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন এবং তারপর ধীরে ধীরে বললেন, "তুমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখো এবং তাঁর দেওয়া পরীক্ষাগুলোকে মেনে নাও। কিন্তু এর পাশাপাশি, তোমার কাজ হলো তোমার উম্মতের (সমাজের) জন্য ফিকির (চিন্তা) করা।" লোকটি বিস্মিত হয়ে বললো, "হুজুর, আমি নিজের সমস্যাগুলোর মধ্যেই আটকে আছি, উম্মতের…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন“””বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম “” আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ’লামীন, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য যাকে আমি রব হিসেবে পেয়েছি এবং হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নবী হিসেবে , লা- হাওলা ওয়ালা- কুওঁয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ্। ভালো কাজ করার তৌফিক দাতা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা । আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতে মগ্নথাকা লোকদের মাঝে দিনের আলো ছড়িয়ে দেন। শত বাধা-বিপত্তি অত্যাচার ,নির্যাতন সহ্য করে তিনি মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে বিশ্বব্যাপী ইসলামকে ছড়িয়ে দেন কিন্তু বর্তমানে আমাদের মুসলিম উম্মার অবস্থা খুবই শোচনীয়। আজ পুরো মুসলিম…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন"🌿উম্মতের ফিকির: উম্মতের ফিকির বলতে বুঝায় উম্মতের চিন্তা। এই সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ❝‘মুমিনদের পরস্পরের ভালোবাসা, অনুগ্রহ, হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার উদাহরণ হচ্ছে একটি দেহ বা শরীরের মতো। যখন দেহের কোনো একটি অঙ্গ আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন সারা দেহের সবগুলো অঙ্গই নিদ্রাহীন হয়ে পড়ে এবং কষ্ট-যন্ত্রণায় জরাগ্রস্ত ও কাতর হয়ে পড়ে।❞ — সহিহ বুখারী ও মুসলিম যেহেতু সমগ্র উম্মত একটি দেহের মতো, তাই আমাদেরকে সমগ্র উম্মতকে নিয়েই চিন্তা করতে হবে। রাসূল সা: ও পূর্ববর্তী আকাবীরদের মধ্যে উম্মতের ফিকির ছিলো প্রবল। বর্তমানে উম্মতের ফিকির এর চাক্ষুষ একটি দৃষ্টান্ত আমাদের শায়খ হারুন…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন★উম্মতের ফিকির★ সমগ্র মুসলিম উম্মতের আদর্শ রাসূলূল্লাহ (ﷺ) এর সীরাতে আমরা উম্মতের ফিকির সিফাতটির উপস্থিতি লক্ষ্য করি। রাসূল (ﷺ) সবসময় উম্মতকে নিয়ে এতোই ফিকির করতেন যে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, ❝তারা কেন মু'মিন হচ্ছে না এই জন্য আপনি মনে হয় আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দেবেন।❞ [সূরা শুআরা: ৩] আল্লাহু আকবার কাবীরা। আমাদের প্রত্যেকের আদর্শ রাসূল (ﷺ) যদি জাহেলিয়াতের যুগের কাফের, মুশরিক উম্মতকে নিয়ে এতো ফিকির করতে পারেন সেখানে আমরা আমাদের মুসলিম ভাই- বোনদেরকে নিয়ে কেন এত উদাসীন? আমাদের মুসসলিম ভাই-বোনেরা আজকাল রবের বিধান মানছে না,…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনআসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ বলছি, ডা. আব্দুর রহমান সুমাইত (রহি.) এর কথা। তিনি কুয়েতের একজন ডাক্টর ;মেডিসিন এবং সার্জারি-বিশেষজ্ঞ ছিলেন। পড়াশোনা করেছেন বাগদাদ ইউনিভার্সিটি, থেকে। ৮-১০ জন ছাত্রের মতো তিনিও স্নাতক সমাপ্ত করেন।এর পর পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে।university of Liverpool থেকে Tropical dieseases এর উপর ডিপ্লোমা কোর্স করেন ১৯৭৪ সালে।এরপর স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন কানাডার Magil University of Montreal বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই ধাপে তিনি internal diseases এবং gastro enterology the digestive system এর উপর বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন। এগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো,আমার-আপনার মতই খেটে খাওয়া মানুষ ছিলেন ডাক্তার আব্দুর রহমান…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনশোকের বছর। নবুয়তের ১০ বছরে পঞ্চাশোর্ধ আল্লাহর রাসুল (ﷺ) তার পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা হারিয়ে চিন্তা করছিলেন নিকটস্থ কোন অঞ্চলে দাওয়াতের কাজ শুরু করতে। তৎকালীন সময়ে শহর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তার দৃষ্টি ছিল তায়েফের দিকে। সঙ্গে তার মুক্তিপ্রাপ্ত দাস যায়েদ ইবনে হারিছা (রা:)-কে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন তায়েফের উদ্দেশ্যে। সতর্কতার জন্য তায়েফ যাত্রার ৭০ মাইল পারি দিলেন পায়ে হেঁটে! যেকোনো অঞ্চলের নেতা দ্বীনের দাওয়াত কবুল করলে বাকিদের সে দাওয়াত কবুল করা সহজ হয়। তাই নবীজি (ﷺ) সেখানকার তিন নেতার সাথে কথা বলতে গেলেন। এরা ছিলও তিন ভাই, প্রথম-জন রাগান্বিত হয়ে…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ফিকির কি? ফিকির মানে চিন্তা, ভাবনা, দরদ নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক বহিঃপ্রকাশ এটি আমাদের প্রিয় নবী (সা:) থেকে পাওয়া এমন এক নিয়ামত যেটার কথা বলতে গেলেই হয়ত চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়। আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরা যখন ইসলামের ছায়াতল থেকে বের হয়ে যায়,তখন তাঁদেরকে দ্বীনের রাস্তায় ফেরানোর জন্য অন্তরে তাদের জন্য দরদ রেখে দাওয়াতি কাজ করাই হলো উম্মতের ফিকির। উম্মতের ফিকির কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা রাসূল (সা:) এর জীবনাদর্শ থেকে জানা এবং তার সাহাবী, এরপর তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী,সালাফ এবং ইমামগনের জীবনী থেকে আমরা ফিকির সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারি। হযরত উমর ইবনুল…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন### মুসলিম উম্মাহর চিন্তা ও ফিকির: একটি ইতিহাস এবং প্রভাব মুসলিম উম্মাহর চিন্তা বা ফিকির হল মুসলিম সমাজের মৌলিক চিন্তা, মূল্যবোধ, এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির সমষ্টি। এটি ইসলামী ধর্মীয় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং মুসলিম সমাজের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং আধ্যাত্মিক জীবনকে প্রভাবিত করে। মুসলিম উম্মাহর চিন্তার মূল দিকগুলি এবং ঐতিহাসিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই বিষয়ে আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ### *১. আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও নৈতিকতা* মুসলিম উম্মাহর চিন্তাধারা আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও নৈতিকতার উপর গুরুত্ব দেয়। কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী, মুসলিমদের উচিত আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে জীবনযাপন করা এবং সৎকর্মের প্রতি উৎসাহী…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন❝বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম❞ এ বিষয়ে আমি খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দিতে চাই যেটা আমরা সবাই নিজ চোখে হতে দেখেছি সমসাময়িক একটা ঘটনা। আমরা সবাই এর প্রতক্ষদর্শী। এই যে আমাদের দেশের সরকার পতন হলো এই সরকারের এভাবে পতন আমরা কেউ চিন্তা করেছিলাম? ৫ আগষ্ট সকালেও কি কেউ চিন্তা করেছিলাম এই সরকার এভাবে পালিয়ে যাবে? দীর্ঘ ১৭ বছর শাসন করে গেছে। আর এত সহজে পতন কল্পনা করা যায়? সামান্য একটা কোঠা আন্দোলন তা নিয়ে সরকার পতন। এটা কি সত্যিই খুব সহজ কিছু? আচ্ছা এই আন্দোলন কিভাবে সম্ভব হলো? উত্তর একটাই হবে আমাদের…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনভাইয়ের বন্ধন ভাঙলো কেন? ছোট বেলা থেকেই মায়ের মুখে শুনে আসছি এক সতর্ক বার্তা- "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।" বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে মা আমাদেরকে খুবই সচেতনতার সাথে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে বলতেন যেন পথচ্যূত না হয়ে যাই। আমরা দুই ভাই । আমার নাম ইনকিলাব আর আমার ভাইয়ের নাম ইখতিলাফ। ছোট বেলায় আমার এক বন্ধু ছিলো, সে অবশ্য এখনো আমার বন্ধু। ওর নাম ইফতিরাক। ছোট বেলা থেকেই আমার ভাই আমাকে একটু নিজের শাসনে রাখার চেষ্টা করতো। টিফিনের টাকা, চকলেট, আইসক্রীম, কলম-খাতা নিয়েও করতো নানা ধরনের বৈষম্য। তবুও ভাইকে ভীষন ভালোবাসতাম…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ঐক্য: ঐক্য শব্দটি আরবি শব্দ জামা আ এর প্রতিশব্দ ।ঐক্য শব্দটি মুসলিম উম্মার সাথে অঙ্গ অঙ্গে ভাবে জড়িত। কোরআন সুন্নাতে ঐক্য সংশ্লিষ্ট অসংখ্য আয়াত এবং হাদিস রয়েছে। উম্মতের ঐক্য বলতে বোঝায় একত্রিত থাকাকে। ইসলামে মুসলিম উম্মতের ঐক্য ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা ফরজ করা হয়েছে ।আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা সকলে ঐক্য বদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না ।(সূরা আলে ইমরান ১০৩) আল্লাহতালা নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে নিষেধ করেছেন ও উম্মতকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার কথা বলেছেন। আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তা'আলা বলেছেন - এবং, মুমিন পুরুষগণ এবং মুমিন নারীগণ…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ঐক্য :- উম্মতের ঐক্য বলতে উম্মতের মধ্যে একতাকে বোঝানো হয়। পুরো মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার জন্য অবশ্যই উম্মতের ঐক্যমত থাকা খুব জরুরী। ঐক্য না থাকলে সহজেই যে কোন তৃতীয় দল এসে যে কোনো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। এইজন্য মুসলিম উম্মাহকে এক হওয়ার জন্য এবং ইসলামি খেলাফতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবশ্যই আমাদের সকল মুসলিম উম্মাহকে একসঙ্গে ঐক্যমত রাখতে হবে। যেমন মুসলিম উম্মাহ হল তারা যাদের আকিদা এক কিন্তু কাজে ভিন্ন মত থাকলে এদেরকে আলাদা করা উচিত নয়। ইসলামের বেসিক জ্ঞানগুলো সম্পর্কে যারা অবহিত এবং বেসিক জ্ঞানগুলো যারা…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনতোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো, আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না”। (আল কোরআন) উম্মতের ঐক্য ফরজ আর আমাদের মাঝে যেসব ইখতিলাফ আছে তা নফল পর্যায়ের। কিন্তু দেখা যায় আমরা ঐক্য না রেখে নিজেদের মাঝেই দলাদলিতে ব্যস্ত থাকি। এর একটা বড় কারন হতে পারে আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও ভাতৃত্ববোধের অভাব। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী নজর কেও কেড়ে থাকলে সেটা হলো ফিলিস্তিনের গাযা। সেখানে এইযে এতো ধ্বংসলীলা চলছে, বিশ্বে এতো এতো মুসলিম কান্ট্রি রয়েছে তারা কেন কিছু করছেনা? তারা কেন হয়ে তাদের গাযাবাসী ভাইদের…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনআব্দুল হামিদ ইবনে বাদের (রহ.) ছিলেন একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসলামিক স্কলার এবং আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত। তিনি উম্মতের ঐক্য ও ইসলামের মুল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন কাজ করেছেন। একবার, আলজেরিয়ায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিভেদ চরমে পৌঁছায়। ফ্রেঞ্চ উপনিবেশিক শাসকরা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল। মুসলিমরা বিভিন্ন দল এবং মতবাদে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল, যার ফলে মুসলিম উম্মাহ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, শেখ ইবনে বাদের (রহ.) একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের শত্রুরা আমাদের বিভক্ত করতে চায়, কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনমুসলিম উম্মাহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরয। তেমনি সুন্নাহর অনুসরণ তথা আল্লাহর রাসূলের শরীয়ত এবং তাঁর উসওয়াহ ও আদর্শকে সমর্পিত চিত্তে স্বীকার করা এবং বাস্তবজীবনে চর্চা করা তাওহীদ ও ঈমান বিল্লাহর পর ইসলামের সবচেয়ে বড় ফরয। সুতরাং সুন্নাহর অনুসরণ যে দ্বীনের বিধান উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষা এবং বিভেদ ও অনৈক্য থেকে বেঁচে থাকাও সেই দ্বীনেরই বিধান। এ কারণে এ দুইয়ের মাঝে বিরোধ ও সংঘাত হতেই পারে না। সুতরাং একটির কারণে অপরটি ত্যাগ করারও প্রশ্ন আসে না। ঐক্য বলতে বুঝি একতা!!…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনহজের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের এক সুন্দর নিদর্শন পাওয়া যায়। কৃষাঙ্গ- শ্বেতাঙ্গ, উঁচু-নিচু, অভিজাত ধনী, গোত্র, বর্ণ সবকিছু ভুলে গিয়ে হাজিরা হজের সব কার্যক্রম শেষ করে ঐক্যের বন্ধন তৈরি করে। হাজিরা রবের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁর একত্ববাদের স্বীকৃতি দেয় এবং বিনয় সুরে বলে, "লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকালা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক"। "হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির। হাজির! তোমার কোনো অংশীদার নেই, নিশ্চয়ই সব গুণকীর্তন ও প্রশংসা, সব নিয়ামত এবং সব ক্ষমতা একমাত্র তোমার। তোমার কোনো শরিক নেই।" এই হজের মাধ্যমে মুসলমান…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনহজরত আবু মূসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলে কারিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য দেয়ালস্বরূপ, যার একাংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে। অতঃপর তিনি তার হাতের আঙুলগুলো প্রবিষ্ট করে দেখালেন'। (সহিহ বুখারি)। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে ‘এক মুসলমান অন্য মুসলমানের জন্য এক শরীরসদৃশ। যদি এর একটি অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে এর প্রভাবে সারাশরীর ব্যথিত ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়'। অদৃশ্য এ শক্তিই মুসলমানদের অবিস্মরণীয় বিজয়ের গোপন রহস্য। সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রহ.) বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের জন্য ওই সময় চূড়ান্ত বিজয়ের প্রস্তুতি নেন, যখন মুসলমানদের পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং শামের নেতৃস্থানীয়রা একই…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন"খন্দকের যুদ্ধ: উম্মতের ঐক্যের দৃষ্টান্ত পটভূমি: খন্দকের যুদ্ধ, যা ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়, মদিনার মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বড় পরীক্ষা ছিল। এই যুদ্ধে মক্কার কুরাইশ ও তাদের মিত্র বাহিনী বিশাল সংখ্যক সৈন্য নিয়ে মদিনা আক্রমণ করার জন্য এগিয়ে আসে। মদিনায় অবস্থানকারী মুসলমানদের সংখ্যা কম ছিল এবং তাদের সামরিক শক্তিও সীমিত ছিল। মদিনাকে রক্ষা করার জন্য এই পরিস্থিতিতে উম্মতের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনা: মদিনা আক্রমণের হুমকির মুখে যখন মুসলমানরা একটি সমাধানের সন্ধান করছিল, তখন হযরত সালমান আল-ফারিসি (রাঃ) এক অনন্য কৌশলের প্রস্তাব দেন। তিনি পারস্যের একটি যুদ্ধ…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ঐক্য আমরা সবাই এক জায়গা হতে এসেছি, মৃত্যুর পর সবাই আবার এক জায়গায় সমবেত হবে। তবুও মানুষের ভালোবাসার মধ্যে কত ফাটল! সে এক জায়গা দিয়ে গেলে, অন্যজন আর সে জায়গা দিয়ে যেতে চান না। সাহাবিদের যুগ থেকে ইখতেলাফ হয়ে আসছে তাই বলে কি তাদের মধ্যে ইফতিরাকের সৃষ্টি হয়েছে। একজন আরেকজনকে বাতিল বলেছে? বলে নাই। কিন্তু বর্তমান উম্মাহদের মধ্যে বন্ধন আর লক্ষ্য করা যায় না। বর্তমান উম্মাহদের মাঝে ইখতেলাফ সৃষ্টি হলে সেটা ইফতিরাক পর্যন্ত চলে যায়। তার কাছে মনে হয় সে নিজে ঠিক আর অন্য সবাই বাতিল। রাসূল (সা) বলেছেন,…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন# মুসলিম উম্মাহর ঐক্য: বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য একটি মৌলিক ইসলামী লক্ষ্য, যা মহান নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। উম্মাহ শব্দটি মুসলিমদের একটি সম্প্রদায় বা জাতি হিসেবে বোঝায় এবং এটি মুসলিমদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার মূল ভিত্তি। ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের আলোকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রবন্ধে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অর্জনের উপায়, ঐক্যহীনতার পরিণতি এবং ঐক্যের বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলি আলোচনা করা হবে। #### ঐক্যের গুরুত্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক শান্তি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ঐক্য নিশ্চিত করে যে মুসলিমরা…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনহযরত হাসান (রা.) । যিনি ছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রাণপ্রিয় নাতি , ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা.) ও ফাতিমা (রা.) এর জৈষ্ঠ পুত্র। হযরত হাসান (রা.) ছিলেন অত্যন্ত ইবাদতগুযার, ন্যায়পরায়ণ , মুত্তাক্বী-পরহেযগার এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত একজন সাহাবী। আবু বকরাহ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন , রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ইবনু আলী (রা.) সম্পর্কে বললেন, "إِنَّ ابْنِى هَذَا سَيِّدٌ، ولَعَلَّ ﷲَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيْمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ." অর্থাৎ, আমার এ সন্তান (দৌহিত্র) একজন নেতা। সম্ভবত তার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের দুটি বড়…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনউম্মতের ঐক্য মুসলিম উম্মাহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরয। তেমনি সুন্নাহর অনুসরণ তথা আল্লাহর রাসূলের শরীয়ত এবং তাঁর উসওয়াহ ও আদর্শকে সমর্পিত চিত্তে স্বীকার করা এবং বাস্তবজীবনে চর্চা করা তাওহীদ ও ঈমান বিল্লাহর পর ইসলামের সবচেয়ে বড় ফরয। ইসলাম তাওহীদের দ্বীন এবং ঐক্যের ধর্ম। এখানে শিরকের সুযোগ নেই এবং অনৈক্য ও বিভেদের অবকাশ নেই। ইসলামে ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ-এক আল্লাহর ইবাদত, এক আল্লাহর ভয়। এই তাওহীদের সমাজকে ইসলাম আদেশ করে সীরাতে মুস্তাকীম ও সাবীলুল মুমিনীনের উপর একতাবদ্ধ থাকার, নিজেদের ঐক্য ও…
সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুনঅপেক্ষা করুন
0