“””বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম “”
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ’লামীন, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য যাকে আমি রব হিসেবে পেয়েছি এবং হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নবী হিসেবে , লা- হাওলা ওয়ালা- কুওঁয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ্। ভালো কাজ করার তৌফিক দাতা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ।
আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতে মগ্নথাকা লোকদের মাঝে দিনের আলো ছড়িয়ে দেন। শত বাধা-বিপত্তি অত্যাচার ,নির্যাতন সহ্য করে তিনি মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে বিশ্বব্যাপী ইসলামকে ছড়িয়ে দেন কিন্তু বর্তমানে আমাদের মুসলিম উম্মার অবস্থা খুবই শোচনীয়।
আজ পুরো মুসলিম জাতি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে ।হাজারো ইখতেলাফ আমাদের সামনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু আল্লাহতালা আমাদেরকে যে আসল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রেরণ করেছেন সেই উদ্দেশ্য থেকে আজ আমরা অনেক দূরে। আমরা শুধু নামেই মুসলিম । আমরা অমুসলিম বলছি কাদের? আমরা কি সত্যিকারে মুসলিম হতে পেরেছি? আমরা শুধু মুখে মুখেই সব বলি কিন্তু কাজকর্মে প্রকাশ করি না। কিন্তু আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই উম্মতের ফিকির করে গেছেন।এমন একজন মানব সত্তার যিনি উম্মাতে ফিকিরে নিজেকে বিলীন করার নিকটবর্তী হয়েছিলেন ।কখনো ব্যক্তিগত ভাবে ,কখনো ভরা মজলিসে, কখনো ভ্রমণ করে কখনো পায়ে হেঁটে। তিনি আমাদের রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর ভালোবাসার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বহু জায়গায় বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি বড় সিফা ছিল উম্মতের ফিকির। তিনি সর্বদা উম্মতকে নিয়ে ভাবতেন। উম্মতের ফিকিরে তিনি থাকতেন অস্থির ও ব্যাকুল । উম্মতের ফিকির আল্লাহর কাছে এমন প্রিয়, যারা নবীজির পূর্বে উম্মতের ফিকির করেছেন, আল্লাহতালা তাদের নাম কোরআন পাকে স্থান দিয়েছেন। যেমন হযরত নূহ আলাই সালাম ,ইব্রাহিম আলাই সালাম, মুসা আলাই সালাম ,দাউদ আলাই সালাম প্রমুখ।
এক,
নবুয়তের শুরুর দিকে যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম ইসলামের দিকে মানুষকে দলে দলে ডাকছিলেন। তখন একদিন বায়তুল্লাহ শরীফের সামনে মক্কার মুশরিকদের সমাবেশ হল। তাতে ছিল রাবি আর তার দুই পুত্র উতবা ও শাইবাহ , আবু সুফিয়ান, আবু জাহেল, ও উমাইয়া বিন খলফ, আয বিন ওয়ারেল প্রমুখ। তারা পরামর্শ করছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামকে ডেকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া বন্ধ করতে বলবে। কুরাইশরা রাসুল সালাম কে বোঝালো রাজত্ব প্রদানের আশ্বাস দিল, ধন দৌলত ,নেতৃত্ব ,সুন্দরী নারী ইত্যাদির লোভ দেখালো। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এসব গ্রহণ করেননি। আসলে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের মনে উম্মতের প্রতি
এত মহব্বত ছিল যে তিনি সর্বাবস্থায় এই ফিকিরে নিমুক্ত থাকতেন যে কিভাবে সকল মানুষ ঈমানদার হয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত পাবে।
দুই,
মালয়েশিয়ার বিখ্যাত আলেম Ebit lew. ওনার দাওয়াতে কার্যক্রম প্রথমত অদ্ভুত লাগ ছিল। মিডিয়াতে একের পর এক পোস্ট কখনো বেপর্দা নারীদের আড্ডা খানায়, পতিতালয়, কখনো নাইট ক্লাবে নেশাগ্রস্ত যুবকদের আডডাস্থলে উনার দেখা মিলে। তবে উনি যান বিশেষ এক উদ্দেশ্যে।*দাওয়া*হল উনার সেই মহান উদ্দেশ্য।
যারা ইসলাম থেকে বহু দূরে যাদের কাছে আমরা মুসলিমরা দাওয়াত পৌঁছাইনা। বরং তাদেরকে আমরা অবহেলা করি কারণ আমাদের ঈমান যে বড় দুর্বল। দাওয়া দিতে গিয়ে যদি নিজেরাই পথভ্রষ্ট হই। তাদেরকে দেখলে ও কথা শুনলে ঘৃণার সাথে এড়িয়ে চলি।কিন্তু এগুলোর জন্য আমাদেরকেই যে জবাবদিহি করতে হবে এটা আমরা কখনো চিন্তা করে দেখি না। এই মানুষগুলো ইসলামিক লেকচার শুনে না ,মসজিদে আসে না ,ওয়াজ মাহফিল আসে না, পায় না ইসলামের সংস্পর্শ। তাহলে তারা ইসলাম সম্পর্কে জানবে কি করে?
অপরদিকে মানবতার ফেরিওয়ালা Ebit lew এই স্তরের মানুষগুলোর কাছে যায়, অন্তরে অন্তর লাগিয়ে আলিঙ্গন করে ,তাদেরকে নানা ভাবে সাহায্য করে, অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে আসার জন্য আলোর পথের সন্ধান দেয়, সে পথ শান্তির সত্যের।আল্লাহর তরফ থেকে এই মানবতার ফেরিওয়ালা চমৎকার দায়ীর উসিলায় তারা ইসলাম গ্রহণ করে মাশাআল্লাহ। উম্মতের জন্য চিন্তা আর ফিকির না থাকলে দায়ীরা এত কষ্ট করতেন ই না।
মিজানুর রহমান আজহারীর এক ওয়াজে শুনেছিলাম Ebit Lew বেপর্দা নারীদের সামনে বা কোনো বার/মদের আড্ডাখানায় গেলে মনে মনে খালি আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে থাকেন।কিন্তু তাও উনি উম্মতের ফিকির করে এত কষ্ট করে যাচ্ছেন।আল্লাহ উনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।আর আমরা যে যেই পরিবেশে আছি নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী মুসলিম হোক অমুসলিম হোক,প্র্যাক্টিসিং হোক অথবা দ্বীন থেকে অনেক দূরে হোক সবাইকে যেন দাওয়াত দিতে পারি।আমিন।
তিন,
আল্লাহ তা’আলা বলেন তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত ,মানবজাতি (সর্বাত্মক কল্যাণে)তোমাদের আবিভূত করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর ও আল্লাহর প্রতি ঈমান রক্ষা করে চলো। যদি আহলে কিতাব ঈমান আনতো তাহলে নিশ্চয়ই তাদের জন্য ভালো হতো, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মুমিন এবং তাদের অধিকাংশই ফাসেক। (সূরা আল ইমরান 110)
আল্লাহর পথে আহবান এর গুরুত্ব বলতে গিয়ে রসূল (সা)হযরত আলীকে(রা) বলেন, হে আলী যদি তোমার দ্বারা কাউকে হেদায়েত দান করেন তবে এটা তোমার জন্য লাল উট অপেক্ষা উত্তম। (বুখারী ২৯৪২ মুসলিম ৬৩ ৭৬)
তেমনিভাবে মুসলিম জাহানের সমস্ত উম্মার জন্য যে পরিমাণ ফিকির প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ )করে গিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রকাশ করার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের প্রিয় নবী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন আরাম আয়েশ ছিল না। নিজের কন্যাকেও আরাম আয়েশ দিতে চাননি। আসুন আমরা দুনিয়ার আরাম ত্যাগ করি। আখেরাতের আরাম এর ফিকির করি।
চার ,ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন। যিনি ৬১৬ সাল ইসলাম গ্রহণ করেন। সমস্ত মুসলিম উম্মার জন্য ফিকির ছিল তার অবর্ণনীয়। শাসক হিসেবে ওমর দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। ফিদাকের জমির ব্যাপারে তিনি আবু বক্কর এর নীতির অনুসরণ করেছেন এবং একে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহারের নীতি চালু করেন। রিদ্দার যুদ্ধে কয়েক হাজার বিদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীকে দাস হিসেবে বন্দী করা হয়েছিল। ওমর (রা) এই সকল বন্দিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং তাদের মুক্তির নির্দেশ দেন। বাইতুল মালের অর্থকে সাধারণ মুসলমানের কল্যাণের জন্য ওয়াকফ করে দেন। রাষ্টের অমুসলিম প্রজাদের সঙ্গে সঙ্গে যেসব অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল তিনি সেই সবের প্রতিকার করেন।
পাঁচ ,সুরা ইয়াসিন এর হাবিবে নাজ্জারের দিকে লক্ষ্য করে আয়াত নাযিল করা হয়েছে। এক শহরে তিনজন নবী দাওয়াতি কাজে গেলেন ।সেই জাতি নবীদের ডাকে সাড়া দিচ্ছিলেন না। এমনকি তাদের উপর আক্রমণের পরিকল্পনাও করেছিল। এই খবর হাবিবে নাজ্জারের কাছে পৌঁছলে তিনি অন্তরে দরদ ও ব্যাকুলতা নিয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে দৌড়ে এলেন। তার জাতিকে আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য। তার জাতিকে সম্বোধন করে বললেন ,তোমরা এমন লোকের অনুসরণ করো যারা কোন প্রতিদান চায়না এবং তারা নিজেরা হেদায়েত প্রাপ্ত। তার জাতি যেন নবীদের সাথে অসৎ আচরণের কারণে ধ্বংস না হয়ে যায় -এই ফিকর নিয়ে দৌড়ে এলেন ।আল্লাহ তায়ালার কাছে তার এই ফিকির ও দরদ এত পছন্দ হলো, আল্লাহতালা তার দিকে ইঙ্গিত করে আয়াত অবতীর্ণ করলেন।
ছয়, একদিন সুলাইমান আলাই সালাম তার সৈনিক দল নিয়ে এদিকে যাচ্ছিলেন। পিপীলিকার সর্দার তাদের ডেকে বলল তোমরা তোমাদের বাসস্থানের প্রবেশ করো। অন্যথায় তোমরা তাদের পদতলে পিষ্ট হবে, এমনকি তারা অনুভব করতে পারবে না ।আল্লাহর কাছে স্বজাতির প্রতি পিপীলিকার এই দরদ এত প্রিয় হল যে, আল্লাহতায়ালা তার কালামে পাকে এই পিপিলিকার নামে একটি সূরা অবতীর্ণ করলেন।নাম দিলেন সূরাতুন নামল। শুধু স্বজাতির দরদ ও ফিকিরের কারণে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারীমে ছোট্ট একটি প্রাণীর নামে সূরা অবতীর্ণ করেছেন। সুতরাং তা এমন দৃষ্টান্ত যা আমি মানুষের জন্য উপস্থাপন করি যাতে তারা চিন্তা ফিকির করতে পারে। আমরা যদি একলাসের সাথে উম্মতের ফিকির করি তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আগত উম্মতের অন্তরে আমাদের নাম লিখে দিবেন ।
সাত,খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ) এর মাজারে গেলে দেখবেন হিন্দু-মুসলিম সকলেই সেখানে যাচ্ছে। মুসলিম অমুসলিম সকলের অন্তরে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। একবার খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ) এর শায়েখ খাজা উসমান হারুনী ( রহ) উনার কাছে এলেন। আগের যুগে মাসায়েখ গন মাঝে মাঝে মুরিদদের এসলাহের জন্য তাদের কাছে আসতেন। এসলাহ করতে লাগলেন। শায়েখ খাজা উসমান হারুনি (রহ) মইনুদ্দিন চিশতী (রহ) কে বললেন (সম্ভবত পরীক্ষার জন্য বলছেন)। বলার সময়টা ছিল নীরব।শায়েখ বললেন আগামীকাল যারা আমার পেছনে ফজরের নামাজ আদায় করবে তারা জান্নাতি। আর যে ব্যক্তি এই খবর অন্য কারো কাছে বলবে সে জাহান্নামী। মইনুদ্দিন চিশতী খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। সারারাত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বললেন ভাই তোমরা আগামীকাল সকালে ফজরের নামাজ আমার শায়েখের পিছনে পড়বে। তোমরা জান্নাতী হয়ে যাবে। এভাবে পুরো রাত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেন এবং তাহাজ্জুদের পূর্বে শায়েখের কাছে এসে হাজির হলেন। ফজরের নামাজে মসজিদ কানায় কানায় ভরপুর,লোকে লোকারণ্য। নামাজ শেষে সায়েখ বলল মইনুদ্দিন আজ এত লোক কেন? অন্যদিন তো এত লোক নামাজে আসে না। মঈন উদ্দিন (রহ) বললেন হযরত আপনি না বলেছেন যারা আপনার পিছনে ফজরের নামাজ পড়বে তারা জান্নাতে যাবে ।এই সকল লোক জান্নাতের আশায় নামাজ পড়তে এসেছে। শায়েখ বলল এই খবর তাদেরকে তুমি দিয়েছো ।তুমি ছাড়া এ খবর কেউ জানে না ।তুমি কি জানো না এই খবর যে অন্যের কাছে পৌঁছে দেবে সে জাহান্নামী । মইনুদ্দিন (রা) বললেন হুজুর বিষয়টি আমি অনেক ভেবেছি, চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম এক মইনুদ্দিন যদি জাহান্নামে গিয়ে হাজার মানুষ জান্নাতি হয়ে যায় তাহলে আমার মনে হয় আমার অন্তর শান্তি পাবে ।এই ছিল উম্মতের দরদ।।শায়েখ খুব দোয়া করলেন। তোমার হাতে মানুষ দলে দলে মুসলমান হবে। এরপরেই এক সফরে ৯০ হাজার মানুষ ইসলাম কবুল করেন। উম্মতের প্রতি দরদ ও ভালোবাসার ফিকির করার কারণে আজও আমাদের অন্তরে আল্লাহ তায়ালা তার নাম লিখে দিয়েছেন।
আট, হিন্দ ইবনে আবি হালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কথাবার্তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন রসূল (সা) সর্বদা উম্মতের ফিকির করতেন। তিনি উম্মতের ফিকিরে এত অস্থির থাকতেন আল্লাহতালা তাকে সান্তনা দিতে গিয়ে আয়াত অবতীর্ণ করলেন, তারা কেন মুমিন হচ্ছেনা এইজন্য আপনি মনে হয় আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দেবেন। সেসময় কারা মুমিন হচ্ছিল না ?মুসলিমরা না অমুসলিমরা? অবশ্যই অমুসলিমরা। অমুসলিমরা কেন মুসলিম হচ্ছে না এইজন্য নবীজি এত অস্থির ছিলেন আল্লাহ তায়ালা সান্তনা দিচ্ছিলেন। আমাদের কি একটিবার এই ফিকির হয়েছে যে অমুসলিমরা চিরস্থায়ী জাহান্নামে ঝাঁপ দিচ্ছে। তাদেরকে কিভাবে আগুন থেকে বাঁচানো যায়। অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াতের ফিকির করব তো দূরের কথা, কেউ যদি মুসলমান হতে আসে তাহলে কালেমা পড়াতেও আমরা ভয় পাই। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।
আজ আমরা ছোট ছোট মতের অমিলকে বড় করে দেখে উম্মতে রাসুলের ফিকির থেকে শয়তানের ওয়াসওয়াসা পড়ে একে অন্যের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। সৃষ্টির উদ্দেশ্য উম্মতকে এক করার সুমহান লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে যাতে সমস্ত উন্মত আবারো আল্লাহর রাসূল ও সাহাবাদের দাওয়াতি ফিকির ও আমলকে সামনে নিয়ে পুরো উম্মতের হেদায়েতের জন্য কাজ করে থাকে। আমরা অনেক সময় ফিকির করি।, ফিকিরে দেখা যায় ঘর থেকে শুরু করব নাকি বাহির থেকে শুরু করব এইসব নিয়ে সময় নষ্ট হয়। আমাদের আই ও এম ওস্তাদ গণ(ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মারছুছ ও মুফতি জুবায়ের আহমদ) বলেছেন ঘরে-বাইরে একসাথে উম্মতের জন্য দাওয়া কাজ করে যাওয়া। ইনশাআল্লাহ সকল উম্মত একসাথে ফিকির ও দাওয়ার কাজ করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তির আশা করা যায়। আমাদের পরিবারগুলো যেন সাহাবীদের মত পরিবার হয়ে যায় ।আমাদের ঘরগুলো যেন সাহাবীওয়ালা ঘর হয়ে যায়। আল্লাহর রাসূল (সা) ও সাহাবীদের ফিকির ছিল সারা দুনিয়াতে কিভাবে দ্বীন ছড়িয়ে যেতে পারে, আমাদের কাঁচা পাকা সকল ঘরগুলোতেও যাতে এই ফিকির (চিন্তা ভাবনা, জাহান্নাম থেকে সমগ্র মানবজাতিকে বাচানোর উদ্দেশ্য নিয়ে মেহনত ও পেরেশানি) চলে আসে। হে আল্লাহ আপনি সকল উম্মতকে ফিকির করার ও রাসুলের(সা) আদর্শকে মেনে চলা তাওফিক দান করুন। হে আল্লাহ মুসলমানদের সমস্ত পরিবারকে সাহাবীওয়ালা ও দাঈওয়ালা পরিবার বানিয়ে দিন ও ইসলাম বুঝে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।