ফিকির মানে চিন্তা, ভাবনা, দরদ নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক বহিঃপ্রকাশ।উম্মতের ফিকির কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা রাসূল (সা:) এর জীবনাদর্শ থেকে জানা এবং তার সাহাবী, এরপর তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী,সালাফ এবং ইমামগনের জীবনী থেকে আমরা ফিকির সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারি।
আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,একদিন বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথেবাসে, আমার কাছে খুব সামান্যই টাকা ছিল,বাসের হেল্পার যেখানে ৮০/৯০ টাকা ভাড়া সেখানে আমার থেকে ১৫০ টাকা নিয়েছিল, আমি পরিপূর্ণ পর্দা করি, উঁচু আওয়াজে কথা বলতে পারিনি, তবে হেল্পারের জন্য অনেক দুআ করেছিলাম ওইদিন,উনি বাবার বয়সি ছিলেন তারওপরে আবার দাঁড়ি ছিলো বেশ বড়-ই। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম কারন আমার কাছে কম টাকা ছিলো আর এইটা আমার ওপরে জুলুম হয়েছিলো,ওই হেল্পার এর হেদায়েত এবং আফিয়াতের জন্য অনেক দুআ করছিলাম আমার মতো আর কারো সাথে যেন উনি আর এরকম জুলুম করে।
আমরা সকলেই একটু ভাবি, আমাদের রাসূল (সা:) মৃত্যুর সময় ও তার উম্মতের জন্য যে ফিকির করেছেন,তাঁর এই আদর্শ আমরা কতটুকু মেনে
আমরা উম্মাতের জন্য কতটা ফিকির করছি। আমার পাশেই আমার প্রতিবেশী সে গোমরাহির মাঝে আছে জেনেও আমি তার প্রতি উদাসীন। আল্লাহ তায়ালা আমাকে দয়া করে হেদায়েতের নূর স্পর্শ করিয়েছে। আমি তো জানি গাফেল হৃদয়ের পরিনতি। আমার প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম১৪০০ বছর আগে আমাকে না দেখা আমার প্রতি আমাদের প্রতি তার কত ফিকির ছিল,অথচ আমি তাকে নূন্যতম খেদমত করতে করিনি। কিন্তু আমার প্রতিবেশী সে তো কোননা কোন ভাবে আমার সামান্য কিছু উপকার হলেও করেছে তাহলে আমরা কেন তার প্রতি এত উদাসীন। এটা তো আমার রাসূলের আদর্শ না।প্রতিবেশির সাথে আমার সম্পর্ক তো চোখ এবং হাতের ন্যায় হওয়ার কথা ছিল। আমাদের চিন্তা ভাবনা হবে এমন যে আমি আমার পরিবার, আত্নীয়, এবং প্রতিবেশী দুনিয়ায় যেমন পাশাপাশি ছিলাম জান্নাতেও আমরা এভাবেই থাকব ইনশাআল্লাহ। আমরা সকলে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার আহবান করবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে ঐক্য ও সংহতি এবং উম্মাতের প্রতি ফিকির করার তৌফিক দান করুন আমিন।