উম্মতের ফিকির-৪

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ,, আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা চাইলে,, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে “উম্মতের ফিকির ” সম্পর্কে কিছু লিখার চেষ্টা করবো।

“উম্মতের ফিকির ” শব্দ দুইটা খালি চোখে দেখলে ছোট,, কিন্তু মনের চোখ দিয়ে দেখলে এটা বৃহৎ, আবার গভীর ও। যদি আমরা এর গভীরতা বুঝতে বা জানতে চায়, তাহলে আমরা ১৪০০ হাজার আগের যুগে যায় অর্থাৎ প্রানের প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগ। একদা, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার একটা জায়গায় বসে বসে কান্না করতেছিল, এমতাবস্থায় সাহাবীরা নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ আপনি কান্না করছেন কেন? উওরে রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন, তোমরা দেখছো নাহ, আমার চোখের সামনে একজন ইহুদি চিরতরে জাহান্নামে চলে গেল। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে!
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইহুদি কে নিয়ে কেমন ভেঙে পড়লেন,, সেখানে আজ মুসলিম উম্মাহ্কে নিয়ে ভাবার সময় হয় নাহ আমাদের, এটা নিতান্তই লজ্জা।

আর একটা ঘটনার মাধ্যমে উম্মতের ফিকির এর গভীরতা তুলে ধরি, ইন শা আল্লাহ।
একবার হযরত খাজা মুঈনউদ্দীন চিশতি রহ: এর উস্তাদ এবং শায়েখ উসমান হারুনী রহ: বললেন, যে ব্যক্তি কালকে সকাল বেলা আমার পিছনে ফজরের নামাজ পড়বে সে হবে জান্নাতি, তবে সাবধান! যে এই কথা কেউ অন্য কারো কাছে বলে, সে হবে জাহান্নামি।পরের দিন, সকাল বেলা দেখা গেলো, মসজিদ ভর্তি মানুষ। উস্তাদ, খাজা মুঈনউদ্দীন চিশতি রহ: কে জিজ্ঞেস করলো কে লোকদের দাওয়াত দিল? তুমি জানো নাহ যে দাওয়াত দিবে সে জাহান্নামি!
হযরত খাজা মুঈনউদ্দীন চিশতি রহ: বললেন, আমি যদি একা জাহান্নামি হই, এই উসিলাই যদি আমার নবী উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করে,, তাইলে এই মুঈনউদ্দিন চিশতি হাসিমুখে জাহান্নামে প্রবেশ করতে রাজি। এই কথায় উস্তাদ কেঁদে দিলেন। সেই মুঈনউদ্দীন চিশতির হাতে প্রায় ৯০ লক্ষ মুসলমান হয়েছে, আল্লাহু আকবর!
সত্যি, তাঁদের ফিকির জুড়েই ছিল উম্মত, সেই উম্মত আজ কতই নাহ অসহায় তাঁদের বিহীন।আমাদের মাঝে মুঈনউদ্দিন চিশতির রহ: মতো হাজারো মুঈনউদ্দীন দান করো, ইয়া আল্লাহ!”

অপেক্ষা করুন

0