উম্মতের ফিকির ২৫

“”আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতে‌ মগ্ন থাকা লোকদের মাঝে দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দেন। শত বাধা-বিপত্তি ,অত্যাচার,নির্যাতন সহ্য করে তিনি মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে বিশ্বব্যাপী ইসলামকে ছড়িয়ে দেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মুসলিম উম্মার অবস্থা খুবই শোচনীয়। মুসলিম উম্মাহ কে আবার দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে। পরিকল্পনাটি নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো:-
আমি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই। সেখানে শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রতিটি শ্রেণীতে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হবে কুরআন ও হাদিস শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গতানুগতিক শিক্ষা কার্যক্রম অনুযায়ী হবে। প্রথম দুইটি পিরিয়ড এর মধ্যে প্রথম পিরিয়ডটি কুরআন শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট থাকবে এবং দ্বিতীয় পিরিয়ডটি হাদিস শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালু থাকবে যাতে করে সকল শিক্ষার্থী শুদ্ধভাবে কুরআন শিখতে পারে এবং জীবন ঘনিষ্ঠ হাদিস ও সুন্নাতগুলো মেনে চলতে পারে। বাকি পিরিয়ড গুলো গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী হবে। আমার এ ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু করার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক মুসলিম সন্তানদের মাঝে কুরআন ও সুন্নাহকে সঠিকভাবে তুলে ধরা। কারণ অনেক সময় জেনারেল পড়াশোনা করতে গিয়ে অনেক বাচ্চারাই আরাবিক পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ে। এক সময় আর এই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনুভব করে না। অনেক জেনারেল পরিবার আছে যারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় সম্পর্কে জানেন না। শিক্ষার্থীরা নিজেরা ইলম অর্জন করে পরিবারের অন্যদের মাঝে দ্বীন প্রচার করার একটা সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানটি হবে অবশ্যই সহশিক্ষা মুক্ত। এভাবে যদি কমপক্ষে ৫০ টি পরিবারকে দ্বীনের পথে আনা যায় আবার ঐ ৫০ টি পরিবার যদি আরো কয়েকটি পরিবারকে ইসলামের দাওয়াত দেয় তাহলে কিছুটা হলেও সমাজের মধ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ ।”””

অপেক্ষা করুন

0