উম্মতের ফিকির ২১

ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করি। আলহামদুলিল্লাহ্ (এইচ এস সি ) পর থেকেই পর্দা মেনে চলার চেষ্টা করি। যখন আমি ইউনিভার্সিটির ক্লাস শুরু করি তখন পর্দা করেই ক্লাস করতাম।আমার সহপাঠীরা পর্দা করত না। সেই সময় আমাদের ডিপার্টমেন্টে তেমন কেউ ই পর্দা মেনে চলত না। এমন একটা পরিবেশে আমি প্রায় একা। আমার সহপাঠীদের মাঝে আমি আমার ব‍্যবহার দ্বারা ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। কেন জানি না আমার মনে হত আমার আদব শিষ্টাচারের মধ্যে যদি ইসলাম কে ফুটিয়ে তুলতে পারি তাহলে হয়ত ওদের উপর দ্বীনের প্রভাব পরবে। একদিন আমার একটা বন্ধবী আমার পাশে বসে। ও মর্ডান বোরখা হিজাব পরে আসত। আমি ওকে বলেছিলাম তুমি যে হিজাব পরে আসো ওটা একটু বড় করে পরে আসবে অথবা হিজাবের উপর ওরনা পরে আসবে। দেখো এমন করে হিজাব পরলে দেখতে খারাপ লাগে। ও সেদিন আমায় কোন জবাব দেয়নি। কিছুদিন পর থেকে দেখলাম মেয়েটা হিজাবের উপর ওরনা দিয়ে আসছে। আর আমার সব সহপাঠীরা আমাকে অনেক সম্মান এবং ভালোবাসতে শুরু করেছে। এর কিছুদিন পর আমার সেই বান্ধবী দেখি পর্দা করে ক্লাসে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ্। এর পর থেকে আরো ২-৩ জন বান্ধবী পর্দা করে ক্লাসে আসা শুরু করল আলহামদুলিল্লাহ্। দেখে যে কত ভালো লাগত। আমাদের ব‍্যাচটা কত সুন্দর ভদ্র শান্ত হয়ে গেল যেটা অন‍্য ব‍্যাচের ছেলে মেয়েদের ছিলনা তাদের মধ‍্য ফ্রিমিক্সিং ছিল।কিন্তু আমাদের ব‍্যাচের ছেলেরা মেয়েদের সাথে খুব একটা মিশত না আর মেয়েদের সম্মান করত। পরবর্তী আমার সেই বান্ধবী আমাকে বলে যে আমি যখন ওকে হিজাবের কথা বলি তখন ওর নাকি আমার উপর রাগ হয়েছিল কিন্তু ওর ভেতর পর্দা না করার জন‍্য খারাপ লাগা শুরু হয় । আমাদের আইওএম এর কথা আমি ওকে জানায়।আলহামদুলিল্লাহ্ ও এখন আইওএম র একজন ত্বলিবা। সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের এখানে ত্বলিবা হওয়ার সৌভাগ্য দিয়েছেন ।

অপেক্ষা করুন

0