উম্মতের ফিকির-২

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর তায়েফের ঘটনা
রাসুলুল্লাহ সাঃ তায়েফে ১০ দিন অবস্থান করেন।এ সময় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ইসলামের দাওয়াত পেশ করেন। কিন্তু সকলের উওর একই তুমি এ শহর থেকে বের হয়ে যাও। ফলে ভগ্ন হৃদয়ে তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। প্রত্যাবর্তনের পথে যখন তিনি পা বাড়ালেন তখন তাকে উত্যক্ত অপমানিত ও কষ্ট প্রদানের জন্য শিশু কিশোর ও যুবকদেরকে তাঁর পিছনে লেলিয়ে দেয়া হলো। তারা হাত তালি,অশ্রাব্য অশ্লীল কথাবার্তা বলে তাঁকে গাল মন্দ দিতে ও পাথর ছুঁড়ে আঘাত করতে থাকল। আঘাতের ফলে রাসুল সাঃ এর পায়ের গোড়ালিতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে পাদ দুটি রক্তাক্ত হয়ে গেল। তার মিশনের বিফলতাজনিত চিন্তা ও দৈহিক যন্ত্রণার দাপটে হৃদয় মন ছিল অত্যন্ত ভারাক্রান্ত ও বিশ্রান্ত।
এমন সময় আল্লাহ রব্বুল আলামীনের আদেশে জিবরাইল আঃ সেখানে আগমন করেন।তার সঙ্গে পর্বত নিয়ন্ত্রণকারী ফেরেশতামন্ডলী। আল্লাহ তরফ থেকে তারা এ অভিপ্রায় নিয়ে এসেছিলেন যে, নবী সাঃ যদি ইচ্ছা করেন তা হলে তারা দুই পাহাড়কে একত্রিত করে দূরাচার মক্কাবাসীকে পিশে মারবেন।
নবী সাঃ বললেন “না, বরং আমার আশা, মহান আল্লাহ এদের পৃষ্ঠদেশ হতে এমন বংশধর সৃষ্টি করবেন যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে এবং অন্য কাউকেও তার অংশীদার ভাববে না”
কেমন ছিল রাসুলুল্লাহ সাঃ ফিকির। সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তিনি যেখানে কাফির মুশরিকদের জন্যও ফিকির করেছেন সেখানে আমরা আমাদের মুসলিম উম্মত কে কিভাবে ভুলে যেতে পারি।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমার ও মানুষের উদাহরণ হলো ওই ব্যক্তির মতো, যে আগুন জ্বালিয়েছে। আগুন চারপাশ আলোকিত করলে কীট-পতঙ্গ এসে ভিড় জমাতে থাকে। পতঙ্গগুলো আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর ওই লোক তাদের সেখান থেকে তুলে ছুড়ে ফেলে। আবার তারা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন। আমি তোমাদের জান্নামের আগুন থেকে বাধা দিই। আর মানুষ সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৮৩)

তিনি তার উম্মতদের জন্য এতটাই চিন্তা করতেন যে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর উম্মতদের মুক্তির জন্য কান্নাকাটি করতেন।

অপেক্ষা করুন

0