একবার এক ব্যক্তি গভীর রাতে রাস্তায় মাতাল অবস্থায় পড়ে ছিল এবং চিৎকার করছিল:
“তারা আমার আমানত নষ্ট করে দিয়েছে! তারা আমার আমানত নষ্ট করে দিয়েছে!”
লোকটি আসলে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত ছিল, তাই আশপাশের লোকেরা তাকে অবহেলা করছিল। কিন্তু মহান আলেম ইমাম আবু হানিফা (রহ.) যখন এই শব্দ শুনলেন, তখন তিনি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,
“তোমার আমানত কী? কে তা নষ্ট করল?”
লোকটি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমার ঈমান ছিল শক্তিশালী, কিন্তু শয়তান ও খারাপ সঙ্গ আমাকে ধ্বংস করে দিয়েছে! আমার ঈমানের আমানত আমি হারিয়ে ফেলেছি!”
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এই কথা শুনে গভীরভাবে চিন্তিত হলেন। তিনি লোকটিকে শান্ত করে তার বাড়িতে নিয়ে গেলেন, পানি পান করালেন এবং তার দেখাশোনা করলেন। এরপর তার সাথে ধীরে ধীরে কথা বললেন এবং দ্বীনের গুরুত্ব বোঝালেন।
লোকটি ধীরে ধীরে তার ভুল বুঝতে পারল এবং তওবা করল। কয়েকদিনের মধ্যে সে পুরোপুরি বদলে গেল এবং দ্বীনের পথে ফিরে এল।
এরপর ইমাম আবু হানিফা (রহ.) তার ছাত্রদের বললেন,
“দেখো, শুধু নিজের ইবাদত করাই যথেষ্ট নয়। উম্মতের ঈমান রক্ষার চিন্তা করাও আমাদের দায়িত্ব!”
এই ঘটনা আমাদের শেখায়, সত্যিকারের আলেমরা শুধু নিজের দ্বীন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না, বরং উম্মতের ঈমান ও হিদায়াতের ফিকির করেন এবং মানুষকে দ্বীনের পথে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করেন।