উম্মতের ফিকির ১৪

“””শীতের কনকনে রাত। আফগানিস্তানের এক ছোট্ট গ্রামে মুজাহিদদের সঙ্গে বসে আছেন শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহ.)। দূরে পাহাড়ের ভেতরে গুলির শব্দ, মাঝে মাঝে মর্টারের বিস্ফোরণ। কিন্তু শাইখের চোখ আটকে আছে এক বুড়ি মায়ের দিকে—যিনি আগুনের পাশে বসে একটা শুকনো রুটি ভাঙছেন।

শাইখ কাছে গিয়ে সালাম দিলেন। মা সালামের জবাব দিলেন, কিন্তু তাঁর চোখে পানি।

শাইখ নরম গলায় বললেন—

“মা, তুমি কাঁদছ কেন? তোমার ছেলে তো শহীদ হয়ে আল্লাহর কাছে পৌঁছে গেছে, এখন তো খুশি হওয়ার সময়।”

মা কাঁপা গলায় উত্তর দিলেন—

“বাবা, আমি কাঁদছি আমার জন্য না, আমার ছেলের জন্যও না… আমি কাঁদছি কারণ আমার আর কোনো ছেলে বাকি নেই, যে এই যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে আল্লাহর দীন রক্ষা করবে।”

এই কথা শুনে শাইখ আবদুল্লাহ আযযামের চোখে পানি চলে আসে। তিনি নিজের ডায়েরিতে লেখেন—

“আমি সেই রাতে বুঝলাম, উম্মতের প্রকৃত ফিকির কী জিনিস… একজন মা নিজের দুনিয়ার কষ্ট ভুলে গিয়ে শুধু আল্লাহর দীন বাঁচানো নিয়ে ভাবতে পারে—এটাই ঈমানের আসল স্বাদ।”

এই ঘটনাটা শাইখের জীবনের এক বড় শিক্ষা হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলতেন—
“যে উম্মতের মায়েরা নিজেদের সন্তান হারিয়ে কাঁদে না বরং দীন রক্ষার চিন্তায় কাঁদে, সেই উম্মতকে কেউ হারাতে পারবে না।”
“””

অপেক্ষা করুন

0