পৃথিবীতে আমাদের যদি কেউ সত্যিকার অর্থেই ভালোবেসে থাকেন। তা কেবল এবং কেবলমাত্র আমাদের প্রাণ প্রিয় মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি কেবলমাত্র এই আমাদের জন্য কাফের মুশরিকদের জন্য হাজারো কষ্ট সহয় করেছেন। আমাদের জন্য তার রক্ত ঝড়েছে, আমাদের জন্যই তিনি অঝরে অশ্রু ফেলেছেন। তিনি ব্যকহল হয়ে রবের কাছে আমাদের জন্য ফরিয়াদ করেছেন। তিনি এতোটাই ভালোবাসতেন আমাদের যে, সকল নবী রাসূল হাসরের ময়দানে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি বলে কান্না করবেন সেখানে আমাদের জন্য মহান রব্বুল আলামীন এর দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে তিনি বলবেন ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি।
দুনিয়ার বুকে রাসূল সাঃ উম্মতের জন্য এতোটা ফিকির করতেন যে, যেই কাফেরদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাফের মুশরিকদের থেকে লাঞ্ছনা এমন কি অনেক শারীরিক মানসিক কষ্ট ও তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলো, তাদেরকেই জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাতে সব সহ্য করে বার বার তাদের দুয়ারে গেছেন ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য।
আমাদের প্রিয় নবী সাঃ কে গোটা বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করা হয়েছে। তিনি তার উম্মতদের খুব বেশি ভালোবাসতেন। সর্বদা তাদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাচানোর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন।
তিনি তার উম্মতদের জন্য এতটাই চিন্তা করতেন যে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর উম্মতদের মুক্তির জন্য কান্নাকাটি করতেন।
আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইবরাহিম (আ.)-এর কথা তিলাওয়াত করলেন, ‘হে আমার রব, তারা অনেক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে, তাই যারা আমার অনুসরণ করবে তারা আমার দলভুক্ত, আর যারা আমার অবাধ্য হবে (তাদের ব্যাপারে) আপনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৬)
আর ঈসা (আ.) বলেছেন, আপনি তাদের আজাব দিলে তারা আপনার বান্দা, আর ক্ষমা করলে আপনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ১১৮)
অতঃপর রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মত! আমার উম্মত!’ আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘হে জিবরাইল, মুহাম্মদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করো, আপনি কাঁদছেন কেন?’ মহান আল্লাহ সব কিছুই অবগত আছেন। জিবরাইল (আ.) এসে জিজ্ঞাসা করল।
রাসুল (সা.) তাকে নিজের কথা বললেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে জিবরাইল, তুমি মুহাম্মদের কাছে গিয়ে বলো, ‘আমি শিগগিরই আপনার উম্মতের ব্যাপারে আপনাকে সন্তুষ্ট করব এবং আমি আপনাকে কষ্ট দেব না’।” (মুসলিম, হাদিস : ২০২)
রাসূল সাঃ কে পাঠানো হয়েছে সকল মানুষের জন্য। তার উম্মতের ফিকির থেকে আমাদের শিক্ষা হলো হাজার হাজার জাহান্নামীদের জান্নাতের দিকে নিয়ে আসা। তারা আমাদের ভই বোন তাদের ফিকির আমাদেরই করতে হবে, ঠিক যেভাবে সূরা নামলে সেই পিঁপড়াটি করেছিলো তার দলের জন্য।