★উম্মতের ফিকির★
সমগ্র মুসলিম উম্মতের আদর্শ রাসূলূল্লাহ (ﷺ) এর সীরাতে আমরা উম্মতের ফিকির সিফাতটির উপস্থিতি লক্ষ্য করি। রাসূল (ﷺ) সবসময় উম্মতকে নিয়ে এতোই ফিকির করতেন যে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,
❝তারা কেন মু’মিন হচ্ছে না এই জন্য আপনি মনে হয় আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দেবেন।❞
[সূরা শুআরা: ৩]
আল্লাহু আকবার কাবীরা। আমাদের প্রত্যেকের আদর্শ রাসূল (ﷺ) যদি জাহেলিয়াতের যুগের কাফের, মুশরিক উম্মতকে নিয়ে এতো ফিকির করতে পারেন সেখানে আমরা আমাদের মুসলিম ভাই- বোনদেরকে নিয়ে কেন এত উদাসীন? আমাদের মুসসলিম ভাই-বোনেরা আজকাল রবের বিধান মানছে না, হারাম কাজে লিপ্ত হচ্ছে, হারামকে নিজেদের জন্য হালাল করে নিচ্ছে তাদেরকে সঠিক পথে, সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে ফিরেয়ে আনার জন্য আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। রাসূল (ﷺ) যেখানে কাফের মুশরিকদের জন্য ফিকির করেছেন সেখানে আমরা আমাদের মুসলিম ভাই- বোনদের কথা কিভাবে ভুলে যেতে পারি? তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেহেতু কাফের, মুশরিকদেরকে নিয়ে ফিকির করেছেন তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করার জন্য শত বাধা- বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন, জুলুম- নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সেখানে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা কী আমাদের দায়িত্ব নয়? তারাও তো আমাদের রবেরই সৃষ্টি, আশরাফুল মাখলুকাত তো তারাও। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
❝তাদের (মুসলিমদের) একটি গোত্র থেকে একদল লোক কেন (রাসূলের সঙ্গে) বের হয় না? যাতে তারা দ্বীনের সঠিক বুঝ লাভ করতে পারে এবং ফিরে এসে নিজ গোত্রের লোকদেরকে সতর্ক করতে পারে। এতে তারাও হয়তো বেঁচে থাকতে পারবে।❞
[সূরা তাওরা: ১২২]
সুতরাং, এই উম্মতকে জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে রক্ষা করার জন্য নিঃসন্দেহে আমাদেরকে তাদের জন্য ফিকির করতে হবে। খাজা মঈনউদ্দিনের চিশতী (র.) হাজার মানুষ জান্নাতি হওয়ার জন্য নিজে যদি জাহান্নামিও হয়ে যান সেটা যেভাবে মেনে নিয়েছিলেন আমাদেরকেও তাদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। আমাদের এই উম্মতের সকল ভাই-বোনকে দ্বীনের পথে, রবের প্রিয় হওয়ার পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করতে হবে, ফিকির করতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন, আমীন।