উম্মতের ফিকির ১০

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
কোন এক কারগুজারি তে ঘটনাটি শুনেছিলাম ৩বছর আগে আলহামদুলিল্লাহ।
১৫ সদস্য বা কম বেশি একটা জামাত বাংলাদেশ থেকে কোন এক দেশে গিয়েছিলেন।ঐ জামাতে বিভিন্ন দেশের সাথি ছিলেন।তো ভিন্ন দেশ হওয়াতে ২-১ জন ব্যতিত বাকি কেউ ই ঐ দেশের ভাষা বুঝছিল না।২-৩ জন যথারীতি দাওয়াতের কাজ করছিলেন,বাকি সাথিরা চিন্তা করল আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত আমানত মানুষের কাছে পৌছাতে না পারলে আল্লাহ তায়ালার কাছে কি জবাব দিব।তারা পেরেশান হয়ে গেল এটা ভেবে এই মানুষ গুলোকে কে ডাকবে আল্লাহর দিকে,কে পরিচয় করাবে তাদের মহান রবের সাথে,কে তাদের জাহান্নাম থেকে বাচাবে?সারাক্ষণ তারা ফিকিরে মগ্ন ছিলেন কিভাবে ঐ ভাইদের কে আল্লাহর রাস্তায় বের করবেন,কিভাবে দ্বীন শিখাবেন,জাহান্নাম থেকে বাচাবেন।প্রতিদিন তাহাজ্জুদে কান্নাকাটি করে রবের কাছে ফরিয়াদ পেশ করতেন।তারা তাদের রাতের সালাত কে দীর্ঘ করে দিলেন,রবের কাছে কান্নাকাটি বাড়িয়ে দিলেন।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাদের ফিকির,তাদের দোয়া কবুল করেছিলেন।যদিও তারা মানুষের সাথে কথা বলে মানুষ কে স্বলাতের দিকে ডাকতে পারছিলেন না,দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারছিলেন না কিন্তু মহান রব তাদের উসিলায় অনেক মানুষ কে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
শোনা যায় নগদ একটি জামাত ৪০ দিনের চিল্লার জন্য ঐ জামাতের সাথে বের হয়েছিলেন।বহু মানুষ নিয়মিত স্বলাত আদায় শুরু করেছিলেন
সুবহানাল্লাহ,সুবহানাল্লাহ আমরা প্রত্যেকেই যদি এরকম আমাদের ভাই/বোনদের ব্যাপারে ফিকির করি,কিভাবে তাদের রবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় তা ভাবি,কিভাবে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে দ্বীন পৌছানো যায় এই ফিকির করি ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করবেন।আল্লাহ তায়ালার কাছে বান্দার ১ মিনিটের ফিকির ৬০/৭০ বছরের নফল ইবাদতের সমান।এভাবে পুরো পৃথিবী একদিন ইসলামের আলোয় আলোকিত হবে ইনশাআল্লাহ”

অপেক্ষা করুন

0