উম্মতের ফিকির ০২

সমস্ত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা যেনো এক শরীরের বিভিন্ন অংশমাত্র।
রসুলল্লাহ’(সা:) এর সাহাবায়ে কেরামগণরা যেমন এক চেতনায় আবদ্ধ ছিলেন না,মতভিন্নতা ছিলো ঠিক তেমনি আমাদের মাঝেও দ্বীনবিষয়ক অনেক ভিন্নতা রয়েছে।
কিন্তু এ কারণে আমরা কাউকে অসম্মান করবো না, বাতিলের দলে ফেলবো না।
তারা আমাদের শত্রু নয় বরং আমাদেরই বিপদগ্রস্ত ভাই/বোন।
আমাদের অনেক বোনেরা আজ দ্বীন সম্পর্কে গাফেল,পর্দার বিধান মানতে চায় না, স্বলাত নিয়ে ফিকির করেনা। তারা যেনো জাহান্নামের আগুনে ছুটছে সেটাকে না দেখেই না বুঝেই। এজন্য আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না বরং আমরা হবো সোলাইমান(আ:) এর সময়কার সেই দায়িত্বশীল পিঁপড়ার ন্যায়। যে সোলাইমান (আ:) এর বাহিনীর পায়ের শব্দ শুনে তার কওমকে শর্তক করলো এবং আদেশ দিলো— হে আমার কওম তোমরা শীঘ্রই গর্তে প্রবেশ করো। যদি তোমরা গর্তে প্রবেশ না করো, তবে এই রাস্তা দিয়ে সোলাইমান বাহিনী আসছে। তোমরা অচিরেই সোলাইমান (আ:) এর পায়ের তলে পৃষ্ট হয়ে মারা যাবে।
আমরা সকলেই শেষ জামানার উম্মাহ্;
আমাদের যে ভাই/বোনেরা দ্বীন হতে সরে গিয়েছে, দৌড়ে দৌড়ে জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে….. আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থান হতে তাদের কোমড় ধরে ধরে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবো ইন.শা.আল্লাহ্!
তাদের আন্তরিকতার সাথে বোঝাবো, তাদের পেছনে দরদ নিয়ে সময় দিবো এবং দুয়া করবো কেননা যে ব্যক্তি কোনো আল্লাহ্ভোলা বান্দাকে পুনরায় দ্বীনের পথে নিয়ে আসতে সহায়তা করে,আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাকে অত্যন্ত মুহাব্বত করেন এবং তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান নিজেই ওই বান্দাকে ভালোবাসেন।
আমরা অবশ্যই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার ভালোবাসার বান্দা হওয়ার প্রতিযোগিতা করবো।

অপেক্ষা করুন

0