উম্মতের ফিকির ০১

উমার রা. এর অন্তিম মূহুর্তে তাকে অনেক চিন্তিত আর পেরেশান দেখাচ্ছিল।তখন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, আশ্বস্ত করার জন্য কয়েকজন সাহাবী আসলেন।আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উমার রা কে বললেন, ইয়া আমিরাল মু’মিনীন আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন জান্নাতের,আপনি খুশি হন,আনন্দিত হন, আপনি ইমান এনেছিলেন এমন অবস্থায় যখন লোকেরা ছিল অবিশ্বাসী,আপনি আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধ করেছন যখন কি না লোকজন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল,রাসূল সা আপনার উপর সন্তুষ্ট অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন,আর এখন আপনি একজন শহিদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। তখন উমার রা বললেন তুমি যা বলছো তা আবার বলো।তুমি যেগুলো বলছো সেগুলোতো আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার জন্য অনুগ্রহ ছিলো,কাজেই এর জন্য আমাকে কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই। আর যে চিন্তার ছাপ আমার চেহারায় দেখছো তা হচ্ছে তোমার আর তোমার লোকেদের ব্যাপারে আমার চিন্তা। সুতরাং উমার রা বলছেন আমি আমার নিজের ব্যাপারে নয় আমি উদ্বিগ্ন মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে।তিনি এই উম্মাহ নিয়ে চিন্তা করছিলেন। উমার রা ছিলেন উম্মতের বিভক্তির মধ্যে দরজাস্বরুপ। তার জীবনকালে উম্মাহর মধ্যে কোনো বিভক্তি ছিল না।
একবার উমার রা তার সফরকালে এক বৃদ্ধ মহিলাকে দেখেন,যে মূলত তার ধর্ম প্রচারের সাথে জড়িত ছিল। উমার রা তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কোন ধর্মের অনুসারী। সে জবাব দিল ইহুদি। তখন উমার রা তাকে দেখে কাঁদতে শুরু করলেন। তিনি বললেন এই মহিলা তার সারা জীবন ধরে ভুল পথে চলে আসছে। সে তার এই কষ্টের কোনো প্রতিদানই পাবে না।এই ব্যথায় তিনি কাঁদছিলেন।
তাহলে দেখা যায় উমার রা এর মনে উম্মতের ফিকির, উম্মতের দরদ কি পরিমাণ ছিল।

অপেক্ষা করুন

0