তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো, আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না”। (আল কোরআন)
উম্মতের ঐক্য ফরজ আর আমাদের মাঝে যেসব ইখতিলাফ আছে তা নফল পর্যায়ের। কিন্তু দেখা যায় আমরা ঐক্য না রেখে নিজেদের মাঝেই দলাদলিতে ব্যস্ত থাকি। এর একটা বড় কারন হতে পারে আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও ভাতৃত্ববোধের অভাব। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী নজর কেও কেড়ে থাকলে সেটা হলো ফিলিস্তিনের গাযা। সেখানে এইযে এতো ধ্বংসলীলা চলছে, বিশ্বে এতো এতো মুসলিম কান্ট্রি রয়েছে তারা কেন কিছু করছেনা? তারা কেন হয়ে তাদের গাযাবাসী ভাইদের পাশে দাড়াচ্ছেনা? কেন?
আমাদের মাঝে সহমর্মিতার অভাব। সহযোগীতার অভাব। ওমুক তমুক দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তাতে আমার কি? আমার দেশ তো ঠিক আছে, আমি তো ঠিক আছি। গাযার একজন শিক্ষকের শেষ পোস্ট ছিলো “কেন শেষ সময়ে এসে গাছ এবং পাথরও কথা বলে উঠবে জানেন? কারন সারা পৃথিবীর মানুষ বোবার মতো নিশ্চুপ হয়ে থাকবে।” এমনটাই হচ্ছে এখন। আজ আমাদের মাঝে ঐক্য নেই বলেই আমরা আমাদের অপর ভাইদের নিয়ে ভাবছিনা, তাঁদেরকে বাঁচানোর জন্য কিছু করছিনা। বোবার মতো দাঁড়িয়ে থেকে শুধু দেখছি। অথচ আমাদের উচিত ছিলো তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদেরকে সাহায্য করা। পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম রাষ্ট্র মিলে ঝাপিয়ে পরা উচিত ছিলো আমাদের ভাইদের বাঁচাতে।
ক্লাসে উস্তাদ একটা গল্প শুনিয়েছিলেন। একটা বনে ৩ টা গরু ছিলো আর একটা বাঘ ছিলো। গরুগুলোর মধ্যে ১ টা লাল রং এর, ১ টা সাদা রং এর আর ১ টা কালো রং এর ছিলো। ৩ জনের মধ্যে খুব মিল ছিলো, তাদের একতার জন্য বাঘটা গরুগুলোকে খেতেও পারছিলোনা। তাই কৌশলে বাঘটা গরুগুলোর একতা ভেঙে তাদের খেয়ে ফেললো। কিন্তু যদি গরুগুলোর মাঝে একতা অটুট থাকতো, তাহলো কিন্তু তাদেরকে বাঘ খেতে পারতো না। তাদের মাঝের ঐক্য নষ্টের জন্য তাদের এই পরিনতি।
আমরাও ঠিক এমন, এই উম্মাতের মাঝে ঐক্য নেই। সবাই দলাদিতে ব্যস্ত। নিজেদেরকে হক দল মনে করে বাকি সবাইকে আমরা বাতিল বলে দেই। আমাদের প্রতিটি মুসলমানের মাঝে ঐক্য থাকতে হবে। আমরা এক চোখ দিয়ে নিজের দোষ দেখবো আরেক চোখ দিয়ে অন্যের গুন দেখবো। অন্যের ভালো দিকটা দেখতে পেলেই আমাদের মাঝে একতা ফিরে আসবে।