“””””””ঐক্যের পতাকা””””
১২শ শতাব্দীর শেষ দিক। জেরুজালেম তখন ক্রুসেডারদের দখলে—মসজিদে আজানের বদলে বাজছে ঘণ্টাধ্বনি, আর মসজিদ-আল-আকসায় মুসলিমরা প্রবেশও করতে পারছে না।
মুসলিম দুনিয়া ছিল বিভক্ত—মিসর, সিরিয়া, ইরাক—প্রত্যেকে নিজেদের সিংহাসন নিয়ে ব্যস্ত।
এই বিভক্তির মাঝে উঠে এলেন এক নেতা—সালাহউদ্দিন আইউবি। তিনি প্রথমেই যুদ্ধ শুরু করেননি, বরং শুরু করেছিলেন উম্মতকে এক করার যুদ্ধ।
তিনি শিয়া, সুন্নি, আরব, কুর্দি—সব মুসলিমকে এক পতাকার নিচে আনলেন। বললেন—
“আমরা যদি আলাদা থাকি, জেরুজালেম কাঁদবে; আর যদি এক হই, আল্লাহ আমাদের হাত দিয়ে তা হাসাবে।”
বছরের পর বছর কূটনীতি, ধৈর্য আর ঐক্যের কাজ শেষে তিনি প্রস্তুত হলেন।
৫৮৩ হিজরির এক সকালে, হাজারো সৈন্য একসাথে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ উচ্চারণ করে ক্রুসেডার বাহিনীর দিকে অগ্রসর হলো। মুসলিম সেনারা জানত—এটা শুধু যুদ্ধ নয়, এটা আল্লাহর ঘর মুক্ত করার মিশন।
যুদ্ধ শেষ হলে জেরুজালেমের দরজা খুলল মুসলিমদের জন্য। সালাহউদ্দিন প্রতিশোধ নিলেন না; বরং বিজয়ের দিন শত্রুদেরও নিরাপত্তা দিলেন।
ঐক্যের সেই বিজয় আজও ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে—যা শেখায়, যখন উম্মত এক হয়, তখন অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়।”””