উম্মতের ঐক্য ০৯

“আল্লাহ্ নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করেছেন এবং এই ঐক্যের বন্ধন হিসেবে আল্লাহ রশিকে দূঢ়ভাবে ধারণ করে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
 হারেস আল-আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা)বলেছেন, আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি,আল্লাহ আমাকে এগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন।
1. জামায়াত বা দলবদ্ধ হবে।
2. নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে।
3. তার আদেশ মেনে চলবে।
4. হিজরত করবে অথবা আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে।
5. আল্লাহর পথে জিহাদ করবে।
 যে ব্যক্তি জামাত বা সংগঠন ত্যাগ করে এক বিগত পরিমাণ দূরে সরে গেলো,সে যেন নিজের কাঁধ থেকে ইসলামের রশি বা বাঁধন খুলে ফেললো,যতক্ষণ না সে সংগঠনে ফিরে আসবে। আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে লোকদেরকে আহ্বান জানাবে সে জাহান্নামের জ্বালানি হবে, যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে ( আহমাদ, তিরমিযী )
 হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি জামায়াত এক বিগত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে যেন ইসলামের রুজ্জু হতে তার গর্দানকে আলাদা করে নিল। (আহমাদ ও আবু দাউদ) আল্লাহ বলেন, اعۡتَصِمُوۡا بِحَبۡلِ اللّٰهِ جَمِیۡعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوۡ আর তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রশি দূঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না (সূরা আলে-ইমরান ১০৩।

 উম্মতের ঐক্যবদ্ধ : মুসলিম উম্মতের পরম্পর ঐক্যেবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরজ। ঈমান-সেইসব মওাকীর জন্য হেদায়েত পথ নিদের্শ,যারা অদৃশ্য ঈমান আনে,নামায কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিযিক দিয়েছি তা, থেকে খরচ করা।আর (হে নবী) আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও আপনার পূর্বে (নবীদের প্রতি) যা নাযিল হয়েছিল তাতেও ঈমান আনে ও পরকালের যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে (সূরা আল বাকারা :২-৪) ।

অপেক্ষা করুন

0