উম্মতের ফিকির ১৫

“””‘উম্মতের জন্য প্রিয় নবীর ভাবনা ”–

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর বার্তা এল, হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম দরজায় দাঁড়ালেন। হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম ভিতরে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! মালাকুল মাউত ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইছেন।”

নবীজি অনুমতি দিলে আজরাইল (আ.) প্রবেশ করলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল, আমি যখন থেকে মৃত্যুর দায়িত্ব লাভ করেছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত জান কবজ করতে কারো অনুমতি নেইনি, ভবিষ্যতেও নেব না। কিন্তু আপনার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—‘আমার হাবিব যদি অনুমতি দেন তবে প্রবেশ করবে, নচেৎ ফিরে যাবে।’ আপনাকে এ সুযোগও দেওয়া হয়েছে—আপনি চাইলে দুনিয়ায় থাকতে পারেন, চাইলে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারেন।”

এ কথা শুনে নবীজি (সা.) জিব্রাইল (আ.)-কে বললেন, “আমার রবকে জিজ্ঞেস করে আসুন, আমার মৃত্যুর পর আমার উম্মতের কী হবে।” প্রিয় ভাই-বোনেরা একটু লক্ষ্য করে দেখুন—তিনি স্ত্রী, সন্তান বা নাতি-নাতনিদের কথা জিজ্ঞেস করেননি; বরং আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন। অথচ আমরা প্রতিনিয়ত রাসূলের সুন্নাহকে জবাই করে চলছি।

জিব্রাইল (আ.) ফিরে এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তিনি কখনো আপনার উম্মতকে একা ছেড়ে দেবেন না। তিনি নিজেই তাদের অভিভাবক হবেন।” তখন নবীজি বললেন, “হে আল্লাহ! তাহলে আমাকে আপনার কাছে ডেকে নিন এবং আপনি আমার উম্মতের রক্ষণাবেক্ষণকারী হয়ে যান।”

এ কথা শুনে জিব্রাইল (আ.) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আজ আপনার ইন্তেকালের দিন, আর আজই আমার দুনিয়ায় আগমনের শেষ দিন। আজ থেকে ওহীর ধারা বন্ধ হয়ে গেল।”

এরপর মালাকুল মাউত তার দায়িত্ব পালন শুরু করলে নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতের উদ্দেশে শেষ নসিহত করলেন:
“হে আমার উম্মত! তোমরা নামাজ যথাযথভাবে আদায় করো। আর দাস-দাসী ও দুর্বলদের সাথে আমি যে বিধান রেখে যাচ্ছি, তা মেনে চলো।”
“””

অপেক্ষা করুন

0