উম্মতের ফিকির ০১

“উম্মতের ফিকিরের একটা ঘটনা লিখুন
*
হাদিস :””আমার দৃষ্টান্ত এবং আমার উম্মতের দৃষ্টান্ত হল এমন একজন ব্যক্তির মত, যিনি একটি আগুন জ্বালিয়েছেন, আর পোকামাকড় ও পতঙ্গগুলো সেই আগুনে ঝাঁপ দিতে থাকে। আমি তোমাদের কোমর ধরে ধরে আগুন থেকে দূরে সরাতে চেষ্টা করছি, কিন্তু তোমরা বারবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছ।”
— (সহীহ মুসলিম)

অনুধাবন :চোখ টা বন্ধ করে যখন ভাবলাম যে,,রাতের অন্ধকারে একজন লোক আগুন জ্বালিয়েছে। আগুনের আলোয় আশেপাশের পোকামাকড় (পতঙ্গ) ছুটে আসছে — তারা জানে না, এটা সুন্দর আলো নয়, বরং ধ্বংসের আগুন। তারা নিজেদের অজান্তেই পুড়ে যাচ্ছে। আর সেই লোকটা প্রাণপণে চেষ্টা করছে—একেকটা পতঙ্গকে ধরে আগুন থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বারবার হাত ফসিয়ে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে…কতোটা দরদ থাকলে এক জন মানুষ এমন করতে পারে! আল্লাহ আলম।

আমাদের রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিক এই ভাবে আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাচানোর জন্য চেষ্টা করে গেছেন।আজীবন এই গুনাহগার উম্মতের জন্য কষ্ট করে গেছেন। গভীর রাতে উঠে কেদেছেন,তায়ফের ময়দানে রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন,জীবনের শেষ সময় কেদেছেন,সারাজীবন ভর কাজ করেছেন, কষ্টে সবর ধরেছেন এই গুনাহগার উম্মতের জন্য যেন আমরা জাহান্নাম থেকে বাচি। সেই কঠিন বিচারের দিন সবাই নিজের জন্য চিন্তিত থাকবে আর আমাদের দরদের নবী বলবেন ইয়া উম্মাতি,ইয়া উম্মাতি!

এই গুনাহগার উম্মতে জাহান্নাম থেকে বাচানোর জন্য তিনি এতো কিছু করেছেন।আর আমরা তার উম্মত হয়ে কিভাবে তার এই সুন্নত কাজ থেকে দূরে সরে আছি?

হে আমার রব আমাকে হেদায়েত দিন এবং এর উপর অটল রাখুন।আর আমার মধ্যে উম্মতের ফিকির করার তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রব।”

অপেক্ষা করুন

0