২)আমাদের এদিকে যুহরের ওয়াক্ত শুরু হয় প্রায় ১২.০০ এর দিকে।আমি কি ১২.৩০/১২.৪০ এর দিকে সালাত আদায় করতে পারবো? নাকি আযানের জন্য অপেক্ষা করবো?
৩) সালাতে হাত পায়ের তালু খোলা রাখা যায়। এখানে তালু বলতে পিঠ- তালু উভয় বুঝাচ্ছে? আমরা যে সালোয়ার পরি তা টাখনুর নিচ পর্যন্ত থাকে মানে টাখনু খাভার হয়ে যায়।গুড়ালি ঢাকে না। এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ইন শা আল্লাহ।
৪) মাগরিবের ফরজ সালাতে শেষ বৈঠক না করে দাড়িয়ে গেলে ৪র্থ রাকাত শেষ হওয়ার পর মনে উঠলে কী করবো? সাহু সিজদাহ্ দিলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে? নাকি দোহরাতে হবে? অনুরুপ চার রাকাআত বিশিষ্ট ফরজ সালাতের ক্ষেত্রে ৫ম রাকাআত পড়ে ফেললে কী করবো? এমতাবস্থায় শেষ করে পুনরায় সালাত আদায় করবো? জাঝাকাল্লাহু খইর।
————-উত্তর————-
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরজ-সুন্নাত নামাজের সিজদাহ্ তে কুরআন -হাদিসে বর্ণিত দুয়াসমূহ করা যাবে।
এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’
-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’
-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
আযানের অপেক্ষা করতে হবেনা।
বরং ওয়াক্ত আসা মাত্র আপনি জোহরের সালাত আদায় করতে পারেন।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
হ্যাঁ, এখানে তালু বলতে পিঠ- তালু উভয় বুঝানো হয়েছে।
নামাজে টাখনুর নিচ পর্যন্ত ঢাকলেই হবে।
গোড়ালি ঢাকতে হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এ ধরনের সালোয়ার পরিধান করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
এক্ষেত্রে উক্ত মাগরিব নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
৪ রাকআত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে ৪র্থ রাকআতের তাশাহুদ পড়ে ভুলে দাড়িয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সেজদার আগে মনে পড়লে সেজদাহ না করে বৈঠকে গিয়ে সেজদায়ে সাহু আদায় করে নামাজ শেষ করে দিতে হবে।
৫ম রাকাতের সেজদাহ করে থাকলে সেক্ষেত্রে
৬ষ্ঠ রাকাতও আদায় করে নিবে।
এক্ষেত্রে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
আর দুই রাকাত নফল হবে।
ফরজ নামাজটি আর আদায় করতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি ৪র্থ রাকআতে বৈঠক না করেই দাঁড়িয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তার নামাজের ফরজিয়্যাত বাতিল হয়ে যাবে।
পুনরায় ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।