Answered: যে টাকা প্রয়োজন পুরানোর উদ্দেশ্যে জমানো হয় সেই টাকার উপর কি যাকাত আসবে এবং কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব হবে?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্.
আমি একজন সিঙ্গেল মাদার। আমি আমার বাবার বাসায় থাকি। আমার খাবার এবং থাকার খরচ আমার বাবা দেই। কিন্তু আমার প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বা টুকটাক প্রয়োজন আমার জমানো টাকা থেকে পূরণ করতে হয়। আমার কাছে কেডিএম এবং ২২ ক্যারেটের ১ ভরি ৩ আনা স্বর্ণ আছে। আর জমানো টাকা আছে যেগুলো আমি প্রতিবছরের ঈদ সেলামি গুলো জমিয়ে রাখি যাতে আমার প্রয়োজনের খরচ গুলো করতে পারি। তবে ১ বছর পূরণ হয়েছে। আমার প্রাতিষ্ঠানিক খরচ,বই কেনা,যাতায়াত খরচ,আইওওমে প্রাতিষ্ঠানিক খরচ, আমার টুকটাক কিছু কিনতে হলে সব এই টাকা থেকে খরচ করি। এখন নিসাব হিসেব করলে আমার নিসাব চলে আসতেছে। এখন এই যাকাত এবং কুরবানি দিতে গেলে আমার জমানো টাকা গুলোই দিয়ে দিতে হবে। আর অল্প ৪০০০ টাকার মতো থাকবে এক্ষেত্রে আমি কি করব।
এখন আমার করণীয় কি?

২)আর যারা কুরবানি দিবে আগে নিয়ত না করায় নখ কেটে ফেলে পরে নিয়ত করে কুরবানী দেওয়ার। এতে চুল নখ না কাটার যে সওয়াব কি পাবে না তাহলে?
খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। একটু জানাবেন মিন ফাদ্বলিক।

৩)আরেকটা প্রশ্ন, যদি ফরয রোজা কাযা থাকে তাহলে কি আরাফার রোযা এবং জিলহজ্জ মাসের রোযা গুলো রাখা যাবে নাকি আগে ফরয রোযা রাখতে হবে?

————-উত্তর————-

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২,কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

শুধু স্বর্ণ হলে কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ থাকলেই কেবল কুরবানি ওয়াজিব হবে। যেভাবে যাকাতের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নিকট ‘এক ভরি চার আনা দুই রত্তি ‘ স্বর্ন বিদ্যমান রয়েছে। এখন যদি আপনার নিকট ঈদের দিন সমূহের কোনো এক দিন যৎসামান্য প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে চায় ১/২ হাজারই হোক না কেন। কিন্তু যদি কুরবানির দিন সমূহের পূর্বেই খরচ হয়ে যায়, তাহলে আর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।

(২)
কুরবানি দেয়া হোক বা না!  সর্বাবস্থায় নখ চুল কর্তন করা মুস্তাহাব।কেউ আগে না করলে পরবর্তীতে ১০ হিলজ্বের পূর্বে করলেও কিছুটা সওয়াব পাবে।

(৩) যদি ফরয রোজা কাযা থাকে তাহলে আরাফার রোযা এবং জিলহজ্জ মাসের রোযা গুলো রাখা যাবে। 

অপেক্ষা করুন

0