আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ, ৩টা প্রশ্নেরই উত্তর প্রদান করলে মুনাসিব ।
১) বিড়াল তার বাচ্চাকে ❝রক্তচোষা❞ নামক একটা প্রাণী এনে দিয়েছিল খাওয়ার জন্য, (গিরগিটির মতো মুখ লাল থাকে) তা বিড়ালের বাচ্চারা খেলছিলো এবং মাংস কিছুটা বের হয়েছিলো কিন্তু রক্ত দেখেছি কিনা মনে পড়ছেনা, কার্পেটে রক্ত লেগে নেই । এখন ভেজা পায়ে ওখান থেকে হেঁটে খাটে উঠা হয়, খাটেই নামাজ পড়তে হয়,
এখন প্রায় ১০-১৫দিন পর সন্দেহ লাগছে যে আমার ভেজা পা লাগানোর কারণে বেডশিট আর ফ্লোর সব নাপাক হয়ে গিয়েছে কিনা? পাপোশে ও পা মুছা হয়েছিলো, তাও কি নাপাক হয়ে যাবে?
২) কিছু সমস্যার কারণে আমি রুমেই অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করছিলাম, তো লোমের সাথে হালকা স্রাব লেগে থেকেছিলো (স্রাব দৃশ্যমান ছিলোনা, এমনে মনে হচ্ছিলো যে হালকা লেগে আছে), তো এগুলো ফ্লোরে ফেলা হয়েছিলো, আমি সিউর যে চুল ফ্লোরে ফেলার কারণে আলাদা করে স্রাব ফ্লোরে লাগবেনা, তাও ভেজা পায়ে ওখান থেকে হেঁটে অন্যত্র গিয়ে নামাজ পড়তে হয়, এক্ষেত্রে জায়গা নাপাক হয়ে যাবে?
যেখানে পা দেওয়া হয়েছে সব জায়গা কি নাপাক হয়ে যাবে?
৩) উস্তায আমি কিভাবে বুঝবো আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত?
————-উত্তর————-
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ ” يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ “
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল ‘আলা (রহঃ) … আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কার্পেটে যেহেতু রক্ত লাগা ছিলোনা এবং আপনার পায়েও যেহেতু কোন রক্ত লাগেনি,সুতরাং বেডশিট,ফ্লোর,পাপোশ কোনো কিছুই নাপাক হয়ে যায়নি।
(০২)
আপনি যেহেতু শিওর যে চুল ফ্লোরে ফেলার কারণে স্রাব ফ্লোরে লাগবেনা,সুতরাং ফ্লোরে স্রাব আসলেই না লাগলে (ফ্লোরে স্রাবের কোনো চিহ্ন/গন্ধ পাওয়া না গেলে) ভেজা পায়ে ওখান থেকে হেঁটে অন্যত্র গিয়ে নামাজ পড়লে এক্ষেত্রে জায়গা নাপাক হয়ে যাবেনা।
যেখানে পা দেওয়া হয়েছে, কোনো জায়গাই নাপাক হয়ে যাবেনা।
(০৩)
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি আপনাকে ওয়াসওয়াসার রুগী বলেন,ওয়াসওয়াসার ঔষধ দেয়,সেক্ষেত্রে আপনি নিজেকে ওয়াসওয়াসার রুগী হিসেবে বুঝবেন।