Answered: জরুরি মাসালা যা জানা খুব জরুরি

Assalaamu alaikum,
তবেকিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেনঃ
যদি কোন স্ত্রী “তুমি আমার বাপ বা বাপের মত” বলে। এ ক্ষেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না। কেবল মহিলাকে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে। নারীরা যিহার করতে পারে না ৫৮৭ (ইবনে বায রহঃ)

সুতরাং তার মতানুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।।

–এই ওয়েবসাইটে যিহারের মাসালা পড়তে গিয়ে জানলাম এই মাসালা টি।। নিম্নোক্ত লিংক থেকে পেয়েছি।

https://ifatwa.info/3729/
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১। “তুমি আমার বাপ বা বাপের মতো” এই কথা যদি স্ত্রী স্বামীকে এই নিয়তে বলে যে স্বামীর চরিত্র স্বভাব তার বাবার মতো তাহলেও কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে??
২। আমি আমার স্বামীকে বললাম তুমি “হুবহু আমার বাপ/তুমি একেবারে আমার বাপ” এটা যদি এই নিয়তে বলি যে আমার স্বামীর স্বভাব আমার বাপের মতো তাহলে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে??

৩।”তুমি আমার বাপ বা বাপের মতো” এটা স্ত্রী মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বললেই কসমের কাফফারা দিতে হবে?? নাকি এখানে নিয়ত থাকা জরুরি। নিয়ত থাকা জরুরি হলে কেমন নিয়ত থাকা জরুরি??
৪। “তুমি আমার বাপ বা বাপের মতো” এ দ্বারা কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে উপরোক্ত মাসালা অনুযায়ী।
স্ত্রী যদি কাফফারা আদায় না করে তাহলে স্ত্রীর স্বামীর কাছে যাওয়া (স্বামীর সাথে সহবাস করা অথবা স্বামীর স্পর্শ নেওয়া) হারাম?? যিহারে যেমন কাফফারা না দিলে স্বামীর স্ত্রীকে স্পর্শ করা হারাম তেমন এখানেও কি স্ত্রী কসমের কাফফারা না দিলে স্বামীর কাছে যাওয়া তার স্বামীর স্পর্শ নেয়া স্বামীর সাথে সহবাস করা হারাম?

৫। যেহেতু মাসালায় লেখা “তবে কিছু উলামায়ে ইকরাম বলেছেন”- সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বলে ‘তুমি আমার বাপ বা বাপের মত’ তাহলে স্ত্রীর কসমের কাফফারা দেয়া কি ফরয যিহারের কাফফারা এর মতো?? যদি স্ত্রী এই কাফফারা না দেয় তাহলে সে গুনাহগার হবে?? স্ত্রী এই মাসালা অনুযায়ী কাফফারা না দিলে তার ইমান চলে যাবে??

৬।
তবেকিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেনঃ
যদি কোন স্ত্রী “তুমি আমার বাপ বা বাপের মত” বলে। এ ক্ষেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না। কেবল মহিলাকে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে। নারীরা যিহার করতে পারে না ৫৮৭ (ইবনে বায রহঃ)

সুতরাং তার মতানুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।।

— এখানে বলা হয়েছে “তার মত অনুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন”। যদি তার মতানুসারীগন এই মত অনুযায়ী আমল না করে অথবা যারা তার মতানুসারী না তারাও যদি এই মত অনুযায়ী আমল না করে তাহলে গুনাহগার হবে কি?? তাদের ইমান চলে যাবে কি??

————-উত্তর————-

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়।মহিলা যিহার করলে যিহার হয় না।সুতরাং যিহার হল, স্বামী কর্তৃক  স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার  অঙ্গের সাথে তুলনা করা।আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/509

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
যেহেতু স্ত্রী কর্তৃক জিহার হয়না,কিছু সংখ্যক উলামা বলেছেন, কসমের কাফফারা দিতে হবে।তাদের মতানুসারে কসমের কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব। এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত না। সুতরাং এ নিয়ে কথা না বাড়ানোই হেকমতপূর্ণ। 

অপেক্ষা করুন

0