আসসালামু আলাইকুম
আমি চাকরী করতে চাই নি,তাই সেটা আমার স্বামীকে বলছিলাম।।কিন্তু আমার শ্বশুর আমার মাকে কল করে বলে চাকরী না করলে কি করে বাচবো,, আমার নিজের চলা যেন নিজে চলি এগুলো বলছে।।।
এই কথার প্রক্ষিতে প্রায় ২ বছর পর আমি আজ আমার স্বামী বলতেছি আপনার বাবা আমার মাকে এই কথাটা কিভাবে বললো,,ওনার তো কোন রাইট নাই বলার।।।কিন্তু আমার স্বামী তার বাবার কথাটাকে সঠিক মনে করতেছে।।
তাই আমি তার কথার প্রেক্ষিতে বলছি আমার যদি চাকরী করেই খেতে হয় তাহলে জামাই দিয়া কি করবো।যদি নিজের দ্বায়িত্ব নিজে নিতে হয় তাহলে জামাই দিয়া কি কবরো।।তখন আমার স্বামী বলছে-__শেষ জামাই গেছেগা!।।তার এই কথার প্রসঙ্গে নাকি আমিও বলছি হুম গেছেগা
,কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে আমি বলছি জামাই দিয়া কি করবো।। জামাই গেছেগা এটা আমি মিন করে বলি নি।।
কিন্তু আমার এই কথার প্রসঙ্গে আমার স্বামী বলছে শেষ জামাই গেছেগা।
আমার স্বামী বলে সে নাকি তালাকের নিয়তে বলে নি।।সে বলে তালাকের নিয়তে কেন বলবো
————-উত্তর————-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আবােদন/ আলোচনার প্রেক্ষাপট
وفي حالة مذاكرة الطلاق يقع الطلاق في سائر الأقسام قضاء إلا فيما يصلح جوابا وردا فإنه لا يجعل طلاقا كذا في الكافي –
মুযাকারায়ে তালাকের মুহূর্তে সকল প্রকার কেনায়া তালাকের শব্দ দ্বারা (কাযা’আন) তালাক পতিত হবে,(তবে দিয়ানাতান তালাক হবে না)। হ্যা, যেই সব শব্দ দ্বারা তালাকের আবেদনকে গ্রহণ এবং প্রত্যাহার উভয়টাই বুঝাবে,সেই সব শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
“(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ”
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে ‘মুতালাবায়ে তালাক বা মুযাকারায়ে তালাক’ নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে তাকদীমূল ঈ’কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে দিয়ানাতান তালাক হবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/531