আমার কাছে ৮৫হাজার টাকা আছে। একটা ব্যবসায় ৩০হাজার টাকা লাগিয়েছি। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেই টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন আমার নিসাবের ক্ষেত্রে ৩০হাজার টাকা ধরব কি না? এবং আমার উপর কি কুরবানি ওয়াজিব হবে?
————-উত্তর————-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1483
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঋণের টাকা শক্তিশালী ঋণের অন্তর্ভুক্ত। তাই ঋণের টাকা বা পাওনা টাকা যাকাত কিংবা কুরবানির নেসাবের অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং ৩০ হাজার টাকা নেসাবের হিসেবে চলে আসবে। ৮৫ হাজার এবং ৩০ হাজার মিলে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ হয়ে যাবে, তাই আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।