Answered: ঈমান নবায়ন ,তওবা

আস সালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতি সাহেব ।

কোন ব্যাক্তি যদি মুসলিম থেকে নাস্তিক বা কাফের হয়ে যায় ,সে শিরক কুফরি তে জড়িয়ে থাকে ১০ বছর ।তার দ্বারা হাজার হাজার শিরক কুফরি হয়।আল্লাহর শানে রাসূলের শানে ইসলামের শানে কুরআনের শানে মসজিদের শানে অবমাননাকর কাজ ও কথা অনেক অনেক অনেক বার অনেক বার শত শত বার করে থাকে

প্রশ্ন:অই ব্যাক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায় ,গ্রহন করতে পারবে কি?

প্রশ্ন:অই ব্যাক্তি ইসলাম গ্রহন করলে কি অতীতের গুনাহ মাফ হবে।কাফের মুসলিম হলে অতীতের গুনাহ মাফ হয় কিন্তু মুসলিম থেকে কাফের হয়ে আবার মুসলিম হলে কি মাফ হয়

প্রশ্ন:ধরেন অই ব্যাক্তি বিশ্বাসের সহিত কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করল।শিরক কুফর ছেড়ে দিল আগের গুনাহর জন্য তওবা করল না বা তওবা করলে ও খালেছ তওবা করল না ,তার কি ঈমান নবায়ন হবে হবে।অই গুনাহ যদি তার আমলে থাকে সে কি কখন ও জান্নাতে যাবে?

————-উত্তর————-

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাওবাহর দ্বারা আল্লাহ পাক সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার-৫৩)
তাওবাহ করলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেন। তাওবাহ করার পর নেক কাজ করলে, আল্লাহ তা’আলা পূর্বে গোনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা ফুরকান-৬৯) এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1012
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ঐ ব্যক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায়, তাহলে গ্রহন করতে পারবে।
(২) ঐ ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করলে অতীতের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কাফের মুসলিম হলে অতীতের গুনাহ মাফ হয় কিন্তু মুসলিম থেকে কাফের হয়ে আবার মুসলিম হলে, তখনও মাফ হয়।
(৩) ঐ ব্যক্তি বিশ্বাসের সহিত কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করল।শিরক কুফর ছেড়ে দিল, আগের গুনাহর জন্য তওবা করল না বা তওবা করলে ও খালেছ তওবা করল না ,তার ঈমান নবায়ন হবে। কেননা কালেমা পাঠ ও গোনাহ ছেড়ে দেওয়া দ্বারা মৌন তাওবাহ হয়ে গেছে।  তার আমলে আর গোনাহ থাকবে না। সেও জান্নাতে যাবে।

আপনার প্রতি আকুল আবেদন।আপনি ওয়াসওয়াসা কোর্সটি করে নিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

অপেক্ষা করুন

0