Answered: মাসালা নিয়্রবপ্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।হুজুর মা বাবার দাথে উলটা পালটা করল নগত ডিভোর্স উক্ত মাসালাট হানাফি মাজহাবেরে বিভিন্ন আলেম বিভিন্ন ভাবে ফতোয়া দেয়।কেউ বলে এটা শর্ত্যুক্ত তালাক আবার অধের্ক আলেম বলেছে কেই বলে নগত মানে ভবিষ্যতে তালাক দিবে তালাক হব্র না ।এখন আমি যদি অই আলেমদের ফতোয়া মানি তালাক্নহবে না আমার কি কুন গুনাহ হবে?

————-উত্তর————-

 

بسم الله
الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/82801/
 
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ
فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا
ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ
لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ
تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي
لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً
أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي
الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا
يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا
وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا
سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে
ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে
দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে
স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির
দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস
করা হয়নি
, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস
করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক
উদ্দেশ্য করিয়াছে
, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক
উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া
হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে
, তাই
পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী
হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে
, যে
স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী
হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত
ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম। (মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ
إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ
اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ،
وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ،
وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً،
وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ
وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ،
وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ،
وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ،
وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ،
وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ
الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ
بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ
تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ
الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ
لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ
السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ
.

احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364،
موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت

برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة
الاسلامية

সারমর্মঃ  ২য় প্রকার,কেনায়া
বাক্য। এর দ্বারা তালাক হবেনা
,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার
ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে
, যার
দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। সেগুলো হলোঃ-
তুমি ইদ্দত পালন করো
,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি
এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে
বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়।

যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।

যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি
ভিন্ন
,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি
মুক্ত
,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে
মিলিত হও
,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি
তোমাকে মুক্ত করে দিলাম
,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার
বিষয় তোমার হাতে
,তুমি আযাদ,তুমি
ঘোমটা পড়
,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি
আড়াল হও (পর্দা করো)
, তুমি বিদূরিত হও, তুমি
বের হয়ে যাও
,তুমি চলে যাও,তুমি
দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও)
, তুমি অন্য স্বামী খুজো।

স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক
হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা
আন
তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা
,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে
তালাক হবে।

আর যদি মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না হয়,বরং রাগ ও ঝগড়াঝাটির অবস্থায়
হয়
,তাহলে প্রত্যেকটি কেনায়া বাক্য বলার দ্বারাই তালাক হবে,কিন্তু
যেসব বাক্য দিয়ে গালি গালাজ উদ্দেশ্য করা হয়
,সেসব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু
যদি নিয়ত করে
,তাহলে তালাক হবে। (কুদুরী
৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১)

বিস্তারিত জানুনঃ-  https://ifatwa.info/24050/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার প্রশ্নে কিছুটা অস্পষ্টতা আছে। বিধায় স্থানীয় কোন ফাতওয়া বিভাগ থেকে উক্ত
প্রশ্নের উত্তর নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে। 

অপেক্ষা করুন

0