উম্মতের ফিকির

উম্মতের ফিকির ০৯

ভারতের হরিয়ানা ও রাজস্থানের উত্তরে জনবিরল এক অঞ্চলের নাম মেওয়াত। সালটা ছিল ১৯১০। উত্তর প্রদেশের সাহরান জেলার মাজাহির উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত করতে কয়েক জন মুসলমানের উপর নিরীক্ষণ চালান।পরে ১০ বছরে এই ধারা মৌখিক আকারে প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯২০ সালে ইলিয়াস কান্ধলভী দক্ষিণ দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিন এলাকার এক মসজিদে তাবলীগের মূল কার্যক্রম গড়ে তোলেন।যা বর্তমানে নিজামুদ্দিন মারকায নামে পরিচিত।১৯২৪ সালে দ্বিতীয় বারের মতো হজ্জে গিয়ে ইলিয়াস কান্ধলভী তাবলীগের নতুন কর্ম পদ্ধতির পরিকল্পনা করেন। দেশে ফিরে তিনি প্রথমে মেওয়াতে যান। গিয়ে দেখেন আগের কোনো প্রভাব নেই সাধারণ মুসলমানদের…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০২

সমস্ত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা যেনো এক শরীরের বিভিন্ন অংশমাত্র। রসুলল্লাহ’(সা:) এর সাহাবায়ে কেরামগণরা যেমন এক চেতনায় আবদ্ধ ছিলেন না,মতভিন্নতা ছিলো ঠিক তেমনি আমাদের মাঝেও দ্বীনবিষয়ক অনেক ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু এ কারণে আমরা কাউকে অসম্মান করবো না, বাতিলের দলে ফেলবো না। তারা আমাদের শত্রু নয় বরং আমাদেরই বিপদগ্রস্ত ভাই/বোন। আমাদের অনেক বোনেরা আজ দ্বীন সম্পর্কে গাফেল,পর্দার বিধান মানতে চায় না, স্বলাত নিয়ে ফিকির করেনা। তারা যেনো জাহান্নামের আগুনে ছুটছে সেটাকে না দেখেই না বুঝেই। এজন্য আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না বরং আমরা হবো সোলাইমান(আ:) এর সময়কার সেই দায়িত্বশীল পিঁপড়ার…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৬

"মুহাম্মদ (সা.) সব সময় উম্মতের জন্য পেরেশান ছিলেন। বদরের যুদ্ধে ৩১৩ জন সাহাবি যখন যুদ্ধ করতে গেলেন, তখন প্রিয়নবী মহান প্রভুর দরবারে তার সাহাবিদের জন্য দোয়া করলেন; হে আল্লাহ! এই সাহাবিরা আমার অনেক আদরের; এই সাহাবিদের তুমি মেরো না, এদের তুমি রক্ষা করো। উহুদে রাসুল (সা.)-এর দাঁত ভেঙেছে, মাথা ফেটেছে, খন্দকের যুদ্ধে মাটি বহন করতে করতে নিজ শরীরে দাগ হয়ে গিয়েছে; তায়েফে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তায়েফের দুষ্ট ছেলেরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ঠাট্টা করেছে, গালমন্দ করেছে, তারা রাহমাতুলিল আলামিনের ওপর কঙ্কর নিক্ষেপ করেছে। তবু তিনি এসব হাসিমুখে সহ্য করেছেন উম্মাহের…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২৩

"আমাদের শেষ নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময়ই তো তার উম্মত কে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, এমনি কি তিনি যখন মিরাজে গিয়েছেন সেখানে গিয়েও আমাদের নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের ফিকির করতে ভূলে যাননি। আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ করার সময়েও উম্মতের ফিকির করেছেন। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালা কে বললেন, ""আমি তো আপনার সাথে দেখা করতে আপনার হুকুমে আরশ পর্যন্ত চলে আসলাম, কিন্তু আমার উম্মতের কি হবে? আল্লাহু আকবর। তিনি কতোটা পরিমাণ আমাদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ভাবা যায়! রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বললেন আমার উম্মতের কি হবে? তখনই…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২০

"উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ সা.-এর ভালোবাসা সমস্যা হোক পাহাড়সম, জটিলতা হোক সমুদ্রসম তবুও নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত ধর্মে তার সঠিক সমাধান ও সঠিক উত্তর নিহিত রয়েছে। প্রিয় নবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি। তার জীবনের আলোয় জীবনকে আলোকিত করার মধ্যেই রয়েছে সফলতা। নবী করিম (সা.)-এর প্রদর্শিত মত ও পথকে মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি হিসেবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করার মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ। রাসূলের সামগ্রিক জীবনের মধ্য থেকে আজকে আলোচনা করব উম্মতের প্রতি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভালোবাসা সম্পর্কে। উম্মতের প্রতি ছিল নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অতুলনীয় ভালোবাসা। উম্মতের প্রতি মহানবী…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১২

"আপনাকে কি করে ভাল না বেসে থাকতে পারি ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)!! মহানবী (সা) উনার এন্তাকালের সময় রাসূল (সাঃ) বললেন, হে জিবরাঈল আমার উম্মতের কি হবে? আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে ? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে। মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের কাছে এলেন জান কবজ করার জন্যে। মালাকুল মউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রাইলকে রাসূল বললেন ঘোঙানির সাথে, ওহ জিবরাঈল এটা কেমন বেদনাদায়ক জান কবজ…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৪

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দরবারে মস্তক অবনত চিত্তে শুকরিয়া আদায় করছি যে, তিনি আমার মত ক্ষুদ্র নগণ্য গুনাহ গার বান্দাকে উম্মাতের ফিকির নিয়ে কিছু কথা লেখার তাওফিক দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ ❤️ ।শুরুতে আমি যা বলতে চাই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র বিশ্ববাসীর কল্যাণ সরূপ। এজন্যই তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উম্মতের কল্যাণ কামনায় কাটিয়ে দিয়েছেন। উম্মতের সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং সর্বাধিক ক্ষতির বিষয় হচ্ছে, দুনিয়াতে ঈমানহারা হওয়া এবং এরই পরিণতিতে আখিরাতে চিরস্থায়ী জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া । এই ক্ষতি থেকে উম্মতকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য তিনি এত বেশী মেহনত করতেন যে, তিনি…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৫

মুসলিম জাহানের সমস্ত উম্মাহর জন্য যে পরিমাণ ফিকির প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) করে গিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রকাশ করার অপেক্ষা রাখেনা। আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এবং আরো কিছু ইসলামের দায়ীগণ সম্পর্কে উল্লেখ করতে চাই। উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন। যিনি ৬১৬ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। উমর (রাঃ) বাগ্মী ব্যক্তি ছিলেন। জনগণের মনে স্থান করে নেয়ার জন্য তার এই দক্ষতা সাহায্য করেছে। সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য ফিকির ছিল তাঁর অবর্ণনীয়। শাসক হিসেবে উমর দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। ফিদাকের জমির ব্যাপারে তিনি আবু বকরের…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৮

"উম্মতের ফিকিরের কয়েকটি ঘটনা : ১) নিজে দ্বীনের আহকামগুলো শেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও একটু একটু শেখানোর চেষ্টা করি। ২) ছোটো চাচাতো ভাই যেনো দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সেজন্য তার পরিবারকে ভাইকে মাদ্রাসায় দিতে উদ্বুদ্ধ করেছি। এবং আলহামদুলিল্লাহ তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি তার বোনও যেনো দ্বীনের হুকুম পালন করতে পারে সে অনুযায়ী তাগিদ দেওয়ার চেষ্টা করছি। পর্দার বিধান যেনো পালন করা শুরু করতে পারে সেজন্য সম্প্রতি হিজাব কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩) আমার বান্ধবীদের সাথে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং তাদেরকে শেখানোর চেষ্টা করি। একজন বান্ধবী যে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৭

"| উম্মতের ফিকির | আমরা কার উম্মত জানেন? এমন একজন মানবসত্তার যিনি উম্মতের ফিকিরে নিজেকে বিলীন করার নিকটবর্তী হয়েছিলেন। দ্বীনের দাওয়াতের সকল পন্থাই তিনি অবলম্বন করেছিলেন। কখনো ব্যক্তিগত ভাবে, কখনো ভরা মজলিসে, কখনো ভ্রমণ করে, কখনো পায়ে হেঁটে। তিনি আমাদের রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নবুয়তের শুরুর দিকে যখন তিনি (সা.) ইসলামের দিকে মানুষকে দলে দলে ডাকছিলেন।তখন একদিন বাইতুল্লাহ শরীফের সামনে মক্কার মুশরিকদের সমাবেশ হল । তাতে ছিল রাবী‘আর দুই পুত্র উতবাহ ও শাইবাহ, আবু সুফিয়ান, আবু জাহল, উমাইয়া বিন খলফ, আস বিন ওয়ায়েল প্রমুখ । তারা পরামর্শ করছিল…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৫

"""বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম "" আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ'লামীন, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য যাকে আমি রব হিসেবে পেয়েছি এবং হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নবী হিসেবে , লা- হাওলা ওয়ালা- কুওঁয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ্। ভালো কাজ করার তৌফিক দাতা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা । আল্লাহ্ আমাকে যত ভালো কাজ করার তৌফিক দেন মনে হয়েছে ওগুলো অন্যর মাঝে ছড়িয়ে দেই , এবং নিজেকেও পরিবর্তন করতে থাকি রবের জন্য, আমি অফলাইন মাদ্রাসায় পড়াকালীন বাড়িতে ছোট্ট মাদ্রাসার ব্যবস্থা করি এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কুরআন শিক্ষা দেই আলহামদুলিল্লাহ, ওখানে থেকেই আল্লাহর ইচ্ছায় কুরআন হাদিসের…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৯

"উম্মতের ফিকির কি? এটি আমাদের প্রিয় নবী (সা:) থেকে পাওয়া এমন এক নিয়ামত যেটার কথা বলতে গেলেই হয়ত চোখ অশ্রুসিক্ত  হয়ে যায়। আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরা যখন ইসলামের ছায়াতল থেকে বের হয়ে যায়,তখন তাঁদেরকে দ্বীনের রাস্তায় ফেরানোর জন্য অন্তরে তাদের জন্য দরদ রেখে দাওয়াতি কাজ করাই হলো উম্মতের ফিকির। উম্মতের ফিকির কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা রাসূল (সা:) এর জীবনাদর্শ  থেকে জানা যায়: একবার কাফেররা রাসূল (সা:) এর ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছিলো।আল্লাহর রাসূল (সা:) ময়লা, আবর্জনা, থুথু মাখা মুখ নিয়ে তিনি সারাদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছিলেন,তাওহীদের কথা বলেছিলেন,এসমস্ত কিছু করার…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৪

মালয়েশিয়া এর বিখ্যাত আলেম Ebit Lew…।উনার দাওয়াতি কার্যক্রম আমার কাছে প্রথমত অদ্ভুত ঠেকেছিল।কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলাম যখন বুঝেছি উম্মতের ফিকির কি। মিডিয়াতে একের পর এক পোস্ট, কখনো উনি বেপর্দা নারীদের আড্ডাখানায়,পতিতালয় ,কখনো বারে,নাইটক্লাবে,নেশাগ্রস্থ যুবকদের আড্ডাস্থলেও উনাকে দেখা মিলে।তবে উনি যান বিশেষ এক উদ্দেশ্যে! *দাওয়া* হলো সেই মহান উদ্দেশ্য। যারা ইসলাম থেকে বহু দূরে,যাদের কাছে আমরা মুসলিম রা দাওয়া ত পোইছাইনা বরং তাদেরকে আমরা এভয়েড করি।কারণ আমাদের ইমান যে বড় দুরবল।যদি দাওয়া দিতে যেয়ে নিজেরাই পথভ্রষ্ট হই?অথবা দাওয়া দেয়ার কথা হয়ত হৃদয়ে উকিও দেয়না।তাদের কথা শুনলে বা দেখলে হয়ত ঘৃনার সাথে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০১

উমার রা. এর অন্তিম মূহুর্তে তাকে অনেক চিন্তিত আর পেরেশান দেখাচ্ছিল।তখন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, আশ্বস্ত করার জন্য কয়েকজন সাহাবী আসলেন।আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উমার রা কে বললেন, ইয়া আমিরাল মু'মিনীন আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন জান্নাতের,আপনি খুশি হন,আনন্দিত হন, আপনি ইমান এনেছিলেন এমন অবস্থায় যখন লোকেরা ছিল অবিশ্বাসী,আপনি আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধ করেছন যখন কি না লোকজন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল,রাসূল সা আপনার উপর সন্তুষ্ট অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন,আর এখন আপনি একজন শহিদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। তখন উমার রা বললেন তুমি যা বলছো তা আবার বলো।তুমি যেগুলো বলছো সেগুলোতো আল্লাহর…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১১

"উম্মতের ফিকির: সাল ২০২৪ ! সময় যত অগ্রসরমান ফিতনাহ তত ক্রমবর্ধমান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীসটি প্রায়শই যখন পড়ে যায় মনে, ""এমন এক সময় আসবে যখন মুসলমানদের জন্য ঈমান ধরে রাখা, জ্বলন্ত কয়লা হাতের মধ্যে রাখার ন্যায় কঠিন হবে -তিরমিযি ২২৬০"" আর তখন হৃদয়ের গহীনে আরম্ভ হয় তোলপাড়।আজ মুসলিম উম্মাহ যেন দিশেহারা। আমরা ভুলে গেছি আমাদের রব মহান আল্লাহ রব্বুল আ'লামীনকে, আমরা ভুলে গেছি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখিয়ে যাওয়া দ্বীনের পথকে। এজন্য পথহারা, দিশেহারা, উদাসীন এই উম্মাহকে আলোর পথে আনতে আল কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১৩

" যাকে নিয়ে লিখবো, তাঁর পরিচয়টা দেই। সাফিয়্যাহ বিনতে আব্দুল মুত্তালিব, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফুফু, একজন হাশেমী, একজন কুরাইশী। আমার কাছে তার বড় পরিচয় অবশ্য এভাবে- প্রথম মুসলিম নারী, যিনি আল্লাহর দ্বীন বাঁচানোর জন্য একজন মুশরিককে হত্যা করেছিলেন। বলে রাখা ভালো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন স্ত্রীর নামও ছিলো সাফিয়্যাহ, সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহা। সাফিয়্যাহ বিনতে আব্দুল মুত্তালিবের দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন আল আউওয়াম ইবনে খুওয়াইলিদ। আল আউওয়াম আবার ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রাদিয়াল্লাহু আনহার ভাই। তাঁর আরো আরো পরিচয় আছে। আচ্ছা আমরা বরং তাঁর…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২২

"উম্মতের ফিকির নিয়ে আমি নিজের ঘটনা শেয়ার করছি ইনশাআল্লাহ।★ঘটনা১:- আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আমাকে দ্বীনি পরিবার এবং পরিবেশে থাকার তৌফিক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী তাবলীগ এর সাথে জড়িত আলহামদুলিল্লাহ। সে সুবাদে আমাদের বাড়ির পাশেই কিছুদিন আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে জামাত আসলে আমি আমার শ্বাশুড়ির সাথে নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করি।শেষের দিন যখন তারা চলে যাবে আমি ভাবছিলাম এমন কোনো আমল/ইবাদতের কথা যদি আমি তাদেরকে জানিয়ে দিতে পারতাম তাহলে অন্তরটা প্রশান্ত হতো।হয়তো আমার বলা আমল/ইবাদত সম্পর্কে তারা আগে থেকেই জেনে থাকবে কিন্তু যদি না জেনে থাকে!তাহলে আমি কিভাবে আল্লাহর অপার নেয়ামত…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২১

ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করি। আলহামদুলিল্লাহ্ (এইচ এস সি ) পর থেকেই পর্দা মেনে চলার চেষ্টা করি। যখন আমি ইউনিভার্সিটির ক্লাস শুরু করি তখন পর্দা করেই ক্লাস করতাম।আমার সহপাঠীরা পর্দা করত না। সেই সময় আমাদের ডিপার্টমেন্টে তেমন কেউ ই পর্দা মেনে চলত না। এমন একটা পরিবেশে আমি প্রায় একা। আমার সহপাঠীদের মাঝে আমি আমার ব‍্যবহার দ্বারা ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। কেন জানি না আমার মনে হত আমার আদব শিষ্টাচারের মধ্যে যদি ইসলাম কে ফুটিয়ে তুলতে পারি তাহলে হয়ত ওদের উপর দ্বীনের প্রভাব পরবে। একদিন আমার একটা…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২৫

" ""আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতে‌ মগ্ন থাকা লোকদের মাঝে দ্বীনের আলো ছড়িয়ে দেন। শত বাধা-বিপত্তি ,অত্যাচার,নির্যাতন সহ্য করে তিনি মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে বিশ্বব্যাপী ইসলামকে ছড়িয়ে দেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মুসলিম উম্মার অবস্থা খুবই শোচনীয়। মুসলিম উম্মাহ কে আবার দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে। পরিকল্পনাটি নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো:- আমি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই। সেখানে শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রতিটি শ্রেণীতে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হবে কুরআন ও হাদিস…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৭

"বাইয়াতে রিদওয়ানঃ ছয় বছর জন্মভ‚মি থেকে বহু দূরে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অন্তরে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে উঠল এবং বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করার ইচ্ছাও জাগ্রত হলো। তাই তিনি সেই শাওয়াল মাসের পরের মাসে জিলকদে তিন হাজার চার শ’ সাহাবার এক কাফেলা নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। যুলহুলায়ফা নামক স্থানে এসে উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধলেন, সাহাবায়ে কেরামও ইহ্রাম বাঁধলেন। ওদিকে মক্কার কাফির-মুশরিকদের কাছে খবর পৌঁছল যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার দিকে আসছেন। তাঁর সঙ্গে কয়েক হাজার সহচর রয়েছে। তারা এই কাফেলার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অশ্বারোহী বাহিনী মোতায়েন করল।…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ১০

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কোন এক কারগুজারি তে ঘটনাটি শুনেছিলাম ৩বছর আগে আলহামদুলিল্লাহ। ১৫ সদস্য বা কম বেশি একটা জামাত বাংলাদেশ থেকে কোন এক দেশে গিয়েছিলেন।ঐ জামাতে বিভিন্ন দেশের সাথি ছিলেন।তো ভিন্ন দেশ হওয়াতে ২-১ জন ব্যতিত বাকি কেউ ই ঐ দেশের ভাষা বুঝছিল না।২-৩ জন যথারীতি দাওয়াতের কাজ করছিলেন,বাকি সাথিরা চিন্তা করল আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত আমানত মানুষের কাছে পৌছাতে না পারলে আল্লাহ তায়ালার কাছে কি জবাব দিব।তারা পেরেশান হয়ে গেল এটা ভেবে এই মানুষ গুলোকে কে ডাকবে আল্লাহর দিকে,কে পরিচয় করাবে তাদের মহান রবের সাথে,কে তাদের…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ২৪

একবার আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) পুরো মদীনাবাসীকে দাওয়াত দেন। সবাই দাওয়াতে শরিক হলেও আবু দারদা (রা.) মসজিদে বসে থাকেন। রাসূল (সা.) তাকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তিনি তার কওমের লোকদের ঈমান আনার ব্যাপারে ফিকির করছেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন, তোমার এই ফিকির আব্দুর রহমান ইবনে আউফ-এর সকল মদীনাবাসীকে খাওয়ানোর চেয়ে উত্তম।উম্মতের হেদায়েতের ফিকির করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। কিন্তু তার ফজিলত প্রকাশ করতে গিয়ে রাসূল (সা.) জড়িয়ে কোনো মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা বর্ণনা করা কোনোক্রমেই বৈধ হবে না। কারণ হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৮

" ""আম্মু"" ঘটনার সাথে আমি জড়িত আর জড়িত আমার husbend r step mother. 2022 January। Canada একটি Nursing home ছিলেন আমার শাশুড়ি, খুব ভালো মানুষ ছিলেন । আমি যখন শুনলাম তার অবস্থা খুব খারাপ , খবর টা শুনার পরে আমার শুধু ফিকির ছিল যে, হায় কোন এক মুহূর্ত এখন যদি উনি মারা যায় কি হবে। আমি আমেরিকা ক্যালিফোর্নিয়া থাকি, টিকিট টা huthat করে কিনে ফেলা আমার জন্য সহজ ছিল না, কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামিন অতি তাড়াতাড়ি বেবস্থা করে দিলেন। কোন এক মুহূর্ত ছিল না যে আমি উনাকে নিয়ে ভাবছিলাম না।…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৬

"আগের নবীদের কাজ ছিল ইমান আনা আমল করা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঈমান আনা ও আমল করাও পৌঁছানো। উম্মতের একই কাজ আলমে আখেরি নবী আলা কাম।সমস্ত উম্মতের একি কাম। একবার সাহাবীদের আবু আইয়ুব আনসারীর বাড়িতে দাওয়াত ছিল। এক সাহাবী মদিনা মনয়ারায় বসা ছিল। কেউ উনাকে জিজ্ঞাসা করল সবাই দাওয়াতে তুমি এখানে কি করছ সাহাবী বললেন আমি চিন্তা করছি, কিভাবে মানুষকে দিনের দাওয়াত দেওয়া যায়। সাহাবী বললেন তোমার এই চিন্তা ফিকির আইয়ুব আনসারীর বাড়িতে হাজারবার খানা খাওয়ার চেয়ে উত্তম সূরা নমল, পিঁপড়ের ফিকির আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয় ছিল কোরআনে উল্লেখ…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ফিকির ০৩

আলী বানাত ছিলেন বিত্তশালী এক তরুণ ব্যবসায়ী, কাটিয়েছেন এক বিলাসবহুল জীবন। কিন্তু যখনই জানলেন, তিনি স্টেজ ফোর ক্যান্সারে আক্রান্ত, তার আয়ু আছে মাত্র সাত মাস; সেই বিলাসী জীবন ছেড়ে তিনি এসে দাঁড়ালেন আর্ত মানবতার পাশে..আলী ভাবলেন, সারাজীবন নিজের জন্যেই করেছেন তিনি। নিজের কথাই তিনি ভেবেছেন। এবার মানুষের জন্যে কিছু করা যাক। সে কারণেই ক্যান্সার শনাক্ত হবার পর তিনি তার সমস্ত ব্যবসা, অর্থ-সম্পদ দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সারা পৃথিবীর সুবিধাবঞ্চিত মুসলিমদেকে সাহায্য করার জন্যে তিনি তার সমস্ত অর্থ-সম্পদ দান করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত মুসলিমদের জন্যে ‘মুসলিম অ্যারাউন্ড…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য

উম্মতের ঐক্য ০৬

"যেকোনো বিজয় অর্জন করার ক্ষেত্রে ঐক্য হলো প্রধান বিষয়। সেইটা সামরিক কিংবা কোনো লক্ষ্য- উদ্দেশ্য হোক না কেন। আমাদের ইসলামে ঐক্যের একটা সুন্দর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় হজ/উমরা করার সময়। সেইখানে সাদা, কালো , মাজহাবী/লা মাযহাবি সব ঘরনার মানুষই একত্রিত হয়ে হজ পালন করে এক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এর কাছে মাথা নিচু করে। কিন্তু আমাদের বর্তমানে কারো পরিচয় মুসলমানের চেয়ে সে কোন ঘরনার সেইটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের মাঝে নফল/মুস্তাহাব বিষয়গুলো নিয়ে মতানৈক্যের জের ধরে বিশাল ফাটলের সৃষ্টির সূত্রপাত করে দিয়েছে বিধর্মীরা। কিন্তু আমরা গুনাক্ষরে চিন্তাও করতে পারছিনা যে তারা এরকম…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১৫

"ঈমানী ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যর রয়েছে অনেক দাবি। দেখা যায় যে, দ্বীনী-দুনিয়াবী মতভেদের ক্ষেত্রে একেঅপরকে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করা, গীবত করা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, কুধারণা পোষণ করা, কটুক্তিকরা, খারাপ নামে বা মন্দ উপাধিতে ডাকা-এই সব বিষয়ের চর্চা হতে থাকে। লোকেরা যেন ভুলেইযায় যে, কুরআন মজীদে এ বিষয়গুলোকে হারাম করা হয়েছে। মতভেদের কারণে তার কোনো ঈমানী অধিকার অবশিষ্টনেই। অথচ এ তো শুধু মুমিনের হক নয়, সাধারণ অবস্থায় মানুষমাত্রেরই হক। একজন মানুষ অপরএকজন মানুষের কাছে এই নিরাপত্তাটুকু পাওয়ার অধিকার রাখে। এমনকি যদি সে মুসলিমও না হয়। সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৪

ঐক্য বা একতা এমন এক অত্যাশ্চর্য বিষয় যা দুর্ভেদ্য লৌহপ্রাচীর থেকেও অধিক শক্তিশালী। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় সংঘটিত বদর,উহূদ,খন্দক,খয়বার,হুনাইন,তাবূক ইত্যাদি যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ঐক্যবদ্ধভাবে যে বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন তা ইতিহাসে বিরল।প্রত্যেকটি ভয়াবহ যুদ্ধেই মুসলিম সেনাসংখ্যা ছিল প্রতিপক্ষ কাফির,মুশরিক, ইহুদীদের সৈন্য থেকে কয়েকগুণ কম। কিন্তু মুমিন মুসলিমদের অন্তর ছিল আল্লাহ তা'আলার প্রতি তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল এ পরিপূর্ণ।আর পরস্পরের মধ্যে ছিল অপরিসীম ঐক্য ও ভালোবাসা। মুসলিম উম্মাহ একটি দেহের সাথে তুলনীয়। দেহের একটি অংশে যদি সামান্যতম ব্যথা অনুভূত হয় তবে তা পুরো দেহকেই অস্থির ও বিষাদময় করে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৫

"উম্মতের ঐক্য বলতে বোঝায় একত্রিত থাকাকে। ইসলামে মুসলিম উম্মতের ঐক্য ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা ফরজ করা হয়েছে।আল্লাহ তাআলা বলেন আর তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০৩) আল্লাহ তায়ালা নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করেছেন এবং এই ঐক্যের বন্ধন হিসেবে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ তা'আলা কুরআনে উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন। অথচ বর্তমান যুগে মুসলিম উম্মতের দিকে লক্ষ্য করলে তার বিপরীত চিত্র ফুটে উঠে। মুসলিম উম্মাহ সামান্যতম বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৭

"মিসর বিজয়ের নেপথ্য নায়ক আমর ইবনুল আস (রা:)। উমর (রা:) এর শাসনকালে আমর ইবনুল আস (রা:) মিসরের প্রতি অগ্রসর হন। মাত্র চার হাজার সৈন্যের দল নিয়ে তিনি আরিশ পৌছান। সকল সৈন্যকে এক করে রাখেন। ভিন্ন ভিন্ন মত একতার ছাঁচে ঢেলে সময়ের যুগোপযুগী করে নেন। সমরের এক পর্যায়ে আরো সৈন্যের প্রয়োজন পড়ে। খলিফা হযরত উমর (রা:) সৈন্য সাহায্য পাঠান। সাথে পাঠিয়ে দেন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বেশ কিছু সাহাবী। যাদের মাঝে যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা:) ছিলেন অন্যতম। আগমনের পর এক সালাতের সময় যুবাইর ইবনুল আওয়াম ইমামতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রধান হিসেবে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১৪

"একদিন এক পাখি শিকারি পাখি ধরার উদ্দেশ্যে কোনো এক জলাশয়ের পাশে তার জালটি পেতে রাখলো।জালের ভিতরে রাখা ছিল শস্যকণা, যা দেখে  অনেক পাখি এসে তার জালের ওপর বসলো  এভাবে পাখিগুলো শিকারির ফাঁদে আটকা পড়ে গেল।কিন্তু যখনই পাখিগুলো ধরার জন্য শিকারি জাল গুটাবে, তখনই পাখিগুলো জালসহ উড়তে শুরু  করল। পাখিগুলোর একত্রে উড়ার প্রচেষ্টা এবং  সহযোগিতা দেখে শিকারি খুবই অবাক হলো। “কীভাবে পাখিগুলো একই সঙ্গে উড়ে যাচ্ছে!” শিকারি আশ্চর্য হয়ে তা দেখছিল সে সিদ্ধান্ত নিলো, পাখিগুলোকে সে অনুসরণ  করবে আর তার শেষ পরিণতি কী হয় তা সে দেখে নেবে।পথে এক ব্যক্তির সাথে শিকারির দেখা হলো। পথিক তাকে জিজ্ঞাসা করল, “এত দ্রুতগতিতে তুমি কোথায় যাচ্ছো?”শিকারি আকাশে উড়ন্ত পাখিগুলোর দিকে ইশারা করে  লোকটিকে বলল, “আমি ওগুলোকে ধরতে যাচ্ছি।”  শিকারির কথা শুনে পথিক হেসে বলল,“আল্লাহ তোমায় জ্ঞান দান করুক! তুমি কি সত্যিই উড়ন্ত  পাখিগুলো ধরতে পারবে?” শিকারি জবাব দিলো, “জালে যদি মাত্র একটি পাখি থাকত তাহলে আমি কখনো তা ধরার আশা করতাম না কিন্তু ওখানে অনেকগুলো পাখি আছে সুতরাং  অপেক্ষা করো এবং দেখো কী হয় আমি ওগুলোকে অবশ্যই ধরব।”এরই মধ্যে রাত নেমে এলো,  পাখিগুলো তখন তাদের নিজ নিজ বাসায় ফেরত যেতে চাইল। তাদের মধ্যে কেউ যেতে চাইল গাছে, কেউবা  জলাশয়ে, আবার কেউবা পাহাড়ে কিংবা ঝোপ-ঝাড়ে  অর্থাৎ তাদের নিজ নিজ বাসায় যেতে জালটাকে একেকটা পাখি একেক দিকে টানতে লাগল ফলে জালসহ সব পাখিই নিচে পড়ে গেল আর  অমনি শিকারি তার জাল ধরে টান দিলো, সাথে  সব পাখি ধরা পড়ল শিকারীর কথাই সত্য হলো। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি আমরা যদি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যায় আমাদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের পথে অটল থাকার তৌফিক দিক।"

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৩

"কুরআনের একই পঠনরীতিতে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা ওসমান রা:-এর বড় অবদান তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান রা:-এর যুগে বেশকিছু যুগান্তকারী কাজ হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, পবিত্র কুরআনের একই পঠনরীতিতে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা। প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা: কর্তৃক কুরআন সুবিন্যস্ত ও একই মলাটে নিয়ে আসার পরও হজরত ওসমানকে যে বিষয়টি পুনরায় কুরআন সংকলনে বাধ্য করেছে তা হল, আবু বকর রা:-এর সংকলিত কুরআনের পাশাপাশি সেসময়ে আরও কয়েকজন সাহাবি ‘কিরাতে সাবআ’ তথা কুরআন তিলাওয়াতের সাত পঠনরীতির অনুকরণে একাধিক প্রতিলিপি তৈরি করেন। পরে দেখা যায়, বিভিন্ন শহরে কুরআন তিলাওয়াতের ‘কোন্ পাঠরীতি’ সঠিক-এ নিয়ে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১০

"হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবদ্দশায় একবার মদিনার মুসলিমদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনার কারণে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। এই বিষয়টি জানতে পেরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অত্যন্ত দুঃখিত হন। তিনি মুসলিমদেরকে একত্রিত করে একটি ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ""**হে মুসলিম ভাইয়েরা! তোমরা কেন একে অপরের সাথে বিবাদ করছো? তোমরা কি জানো না যে, ঐক্যই তোমাদের শক্তি? তোমরা যদি বিভক্ত হয়ে পড়ো, তাহলে তোমাদের শক্তি কমে যাবে এবং তোমাদের শত্রুরা তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে।**"" ""**তোমরা সকলে আল্লাহ্‌র রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো। তোমাদের মধ্যে যদি কোন ভুল…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১৬

" মানুষের সহজাত স্বভাব হচ্ছে তাঁরা ঐক্যের মাঝে শক্তি খুঁজে পায়।মানবজাতির জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তবে আমাদেরকে অবশ্যই এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন যা কিনা মাত্র কয়েকটি বিষয়ে শান্তি এনে দেয় বরং সবার জন্য সেটা স্বস্তির এবং শান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। এবং আমরা এমন শান্তি এবং ন্যায় বিচার চাই যা কিনা সময় স্থান কাল পাত্র ভেদে পরিবর্তন হবে না, বরং স্থির থাকবে।    মানবজাতি সাধারণত খুব কমই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে। কেননা সবার মাঝে বেশির ভাগ সময় একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব বিদ্যমান থাকে। যখন একজন…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৯

"লুনা চকলেট একটি খাচ্ছিলো। এমতাবস্থায় লুনার মুখের চকলেটের কিছু টুকরো মেঝেতে পড়ে গেল। সেই চকলেট খেতে দুটো লাল পিঁপড়া চলে এল। পিঁপড়া দুটো চকলেটের টুকরোগুলো নিতে পারছিল না। তাই একটি আরেকটির কানে কানে সবাইকে খবর দিতে বলল, যাতে তারা সবাই মিলে চকলেটগুলো বাড়িতে নিয়ে মজা করে খেতে পারে। সেই খবর পেতেই পিঁপড়ার দল সারি বেঁধে ছুটে এল। এই কাণ্ড দেখে লুনা তার দাদুকে ডাক দিল। দাদু দেখে বললেন, পিঁপড়ারা মিলেমিশে থাকে, সবাই মিলে খাবার খায়। আর তাই কেউ ওদের সাথে লড়াই করতে পারে না।এতে লুনা বুঝতে পারলো যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০১

"একদিন মদিনার দুই ব্যক্তি টেনে-হিচড়ে এক যুবককে খলিফা হজরত উমর রা.-এর দরবারে হাজির করল এবং বিচার দাখিল করল যে এই যুবক আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। তখন খলিফা হজরত উমর রা. ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পর্কে। যুবকটি উত্তর দেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসেছিলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০২

"সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীকে তার গুপ্তচররা বলেছিলেন যে একজন ধর্মীয় পণ্ডিত আছেন যিনি খুব ভাল কথা বলেন এবং মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সুলতান বললেন, ""আরও বলুন, গুপ্তচর কিছু ভুল বলেছে যা আমরা অনুভব করছি কিন্তু আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না।"" সুলতান বললেন, আপনি কি দেখেছেন এবং শুনেছেন বলুন। গুপ্তচর ছিটকে পড়ল! তিনি বলেন, নফসের জিহাদ সর্বোত্তম, সন্তানদের শিক্ষিত করা সর্বোত্তম জিহাদ, গৃহের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রচেষ্টা করাও একটি জিহাদ। সুলতান বললেন, তাতে কি কোনো সন্দেহ আছে? গুপ্তচর বলল যে তার কোন সন্দেহ নেই কিন্তু পণ্ডিত বললেন: সুলতান উদ্বিগ্ন…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১২

"উম্মতের ঐক্য নিয়ে ঘটনা: ঐক্য শব্দটি আরবি শব্দ জামা'আ এর প্রতিশব্দ।ঐক্য শব্দটি মুসলিম উম্মাহর সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কোরআন-সুন্নাহতে ঐক্য সংশ্লিষ্ট অসংখ্য আয়াত এবং হাদিস রয়েছে।আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন “ তোমরা পরস্পর আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধরোও,বিচ্ছিন্ন হয়োও না।” - এই হাদিস দ্বারা আমরা মুসলিম উম্মাহর পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার গুরুত্ব বুঝতে পারি। আল্লাহ সুবহানাল্লাহ ওয়া তা'লা বলেছেন - “এবং মুমিন পুরুষগণ এবং মুমিন নারীগণ পরস্পর পরস্পরের বন্ধু বা অভিভাবক।”-(আয়াত৭১,সূরা তাওবা) মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকাকে অসংখ্য উলামা-কেরাম ফরজ বলে ঘোষণা করেছেন। উম্মতের ঐক্য নিয়ে অসংখ্য সালাফে সালহীন কাজ…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১৭

"রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওতের কয়েক বছর পূর্বে উনার পরিবারে জন্ম নেন একজন শিশু, যিনি কিনা রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওতের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পাশে ছিলেন এবং তিনি হলেন সেই মেয়ে যিনি কিনা রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পর তার বংশ থেকে সর্বপ্রথম তিনিই মিলিত হবেন বলে সুসংবাদ লাভ করেছিলেন। . তিনি হলেন ‘বেহেশতবাসী নারীদের নেত্রী’। সেই নারী আর কেউ নন বরং আমাদের রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কনিষ্ঠ কন্যা 'হযরত ফাতিমা' (রাদ্বি আল্লাহু আনহা)। . রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওত লাভের প্রথমেই উনার স্ত্রী…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১১

"আসরের স্বলাত শেষ করে ইমাদ পা বাড়াল খেলার মাঠের দিকে। কিছুদূর যেতেই মাঠের কোণায় কিছু লোকের এক জটলা চোখে পড়ে। একটু এগিয়ে গিয়ে ঘটনা যা জানা গেল তা হলো – দুজন লোক একটি মুস্তাহাব আমলকে কেন্দ্র করে বাধানুবাধ বাধিয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা বেসামাল হতে পারে আঁচ করতে পেরে ইমাদ এগিয়ে গিয়ে তাদের মাঝে ঢুকে পড়ল। ”চাচাদ্বয় আপনাদের বিষয়টার সমাধান আমি দিচ্ছি, একটু শান্ত হোন” বলেই পাশে থাকা জুসওয়ালাকে হাঁক পাড়ে – ”এই যে ভাই, তিনটা জুস দিন”। বেশ বিচক্ষণতা ও দৃঢ়তার সাথেই চাচাদের শান্ত করার চেষ্টাসমেত হাতে জুস তুলে দিয়ে বসে…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ১৩

"হযরত উমর রা. ও হযরত হিশাম ইবনে হাকীম রা.-এর মধ্যকার বিরোধের কথা বর্ণিত হয়েছে বুখারী শরীফ এর একটি হাদিস এ। যা সাময়িক ঝগড়ার রূপ ধারণ করেছিল। মতবিরোধটি হয়েছিল কুরআনের কিরাত নিয়ে। হযরত উমর রা. হযরত হিশাম রা.কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাজির করে তার বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেকের পড়া শুনলেন। এরপর প্রত্যেককেই বললেন- هكذا أنزلت অর্থাৎ এভাবে কুরআন নাযিল হয়েছে।-সহীহ বুখারী ৮/৬৩৯-৬৪০ (ফাতহুল বারী) এ ধরনের আরেকটি ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে বলেছেন- كلاكما محسن، فاقرآ তোমাদের দুজনই ঠিক পড়েছ। তাই পড়তে থাক।-সহীহ বুখারী ৮/৭২০ (ফাতহুল বারী) বনু কুরাইজার ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীর মর্ম বোঝার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ হয়েছিল। উভয় দল হাদীসের মর্ম যা বুঝেছেন সে অনুযায়ী আমল করেছেন। এরপর সরাসরি আল্লাহর রাসূলের শরণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু তিনি কোনো দলকে তিরস্কার করেননি। বিস্তারিত ঘটনা উদ্ধৃতিসহ সামনে আসছে। তো দেখুন, প্রথম ঘটনা ছিল কিরাআতের পার্থক্য সংক্রান্ত, যা সুন্নাহর বিভিন্নতার মধ্যে শামিল। এই মতভেদের ক্ষেত্রে যখন আল্লাহর রাসূলের শরণ নেওয়া হল তিনি বিবাদ মিটিয়ে দিলেন, কিন্তু ইখতিলাফ বহাল রাখলেন এবং বললেন,…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

উম্মতের ঐক্য ০৮

"একটি বড় শহরে এক লাখেরও বেশি লাভবান দোকানদার আছেন, যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা বিক্রিবাট্টা চালায়। আপনি যদি তাদের লাভের কথা জিজ্ঞেস করেন, তারা সপ্রশংস তার বর্ণনা দিবে। কিন্তু ওই লাভের টাকা পাহাড় পরিমাণ হলেও জাতির স্বার্থে তা কিছুই না। কারণ সবার আয় তার নিজের জন্য, কোথাও ‘একত্র’ করার জন্য নয়। তো প্রত্যেক দোকানদার তার লাভের টাকা ব্যক্তিজীবন ও ঘরবাড়ি উন্নত করবে, কিন্তু জাতির এতে কিছুই আসবে-যাবে না। তার পরিবর্তন কেবলই তার সাফল্য, জাতির এখানে কোনো কিছুই নাই। বর্তমান মুসলমানদের কায়-কারবারও এখন থেকে বুঝে নিন। যতই তারা ইসলামের জিকির করুক, যতই…

সম্পূ্র্ণ লেখাটি পড়ুন

অপেক্ষা করুন

0