Answered: স্রাব খয়েরী রঙের হলে কী পিরিয়ড ধরা হবে?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,,
আচ্ছা যদি স্রাব খয়েরী রঙের হয় তাহলে কী পিরিয়ড হয়েছে বলে ধরা হবে?
গত পরশুদিন সন্ধ্যা থেকে এমন হচ্ছে আর এটা শুধু নির্দিষ্ট সময়ে হয় আসর থেকে মাগরিবের নামাজের সময়ের মধ্যে। এছাড়া অন্য সময় সাদা থাকে। এমতাবস্থায় কি নামাজ, রোজা আদায় করা যাবে? কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? বুঝতে পারছি না।

————-উত্তর————-

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/78

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! তিনদিন তিনরাতের কম যেহেতু হায়েয হয় না।  এবং পূর্বের হায়েয থেকে ১৫ দিন অতিক্রম করার পূর্বে যেহেতু হায়েয হয় না। যেহেতু
আপনি তিনদিন তিন রাত তথা ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও আর রক্তস্রাব আসে  নাই, তাই এটা ইস্তেহাযা। আপনাকে ফরয গোসল করতে হবে না। বরং আপনি এমনিতেই পবিত্র।আপনি নামায রোযা করবেন। এবং এই তিনদিন তিনরাতের যেইসব নামায পড়া হয়নি , সেগুলির কাযা এখন করে নিবেন। 

অপেক্ষা করুন

0