Answered: মনে তালাকের সন্দেহ হলে করণীয় কি?

আসসালামু আলাইকুম,
বেশ কয়েক বছর আগে, আমার বিয়ের বয়স তখন বছর খানেকের মতো। এখন আমাদের বিয়ের বয়স চার বছরের বেশি।
আমার তখন তা* এর এলেম খুবই কম ছিল, তখন কেনায়া তা* এর কিছু এলেম অর্জন হয়।
[তা* এর বিষয় গুলি যেভাবে মুখে উচ্চারণ করলে মানুষের বৈবাহিক সম্পর্ক এর সমস্যা হয় এই বিষয় গুলি নিয়ে বেশ চিন্তা করতাম অর্থাৎ তা* এর মাসআলা অনেক ভাবতাম এখনো তা* এর মাসআলা অনেক ভাবি। ] এই মাসআলা টা আমার বিবিকে বুঝানোর জন্য বলতাম/সতর্কতা স্বরুপ বলতাম, আমাদের কথা বর্তা সাবধানে বলা উচিত। তুমি কথা বার্তা ভেবে চিনতে বলবা। মানুষের মুখের কথার দ্বারাই বৈবাহিক সমস্যা হয়। (তা* এর মাস আলা য় যে সমস্ত কথা যেভাবে বললে বৈবাহিক সমস্যা হয়, মাসআলা স্বরুপ বুঝিয়েছি/সতর্কতা স্বরূপ মাসআলার ওই কথাগুলির বিষয়ে বুঝিয়েছি)

এখন খেয়াল হচ্ছে (অথবা প্রায় বছর খানেক যাবত খেয়াল হচ্ছে), আমার বিবি ওর মুখে যেভাবে যাই উচ্চারণ করুক এতে আমাদের বৈবাহিক কোন সমস্যা নেই, আলহামদুলিল্লাহ। কারণ ওর তা* এর অধিকার নেই। (কিন্তু আমি যে ওকে মাস আলা বুঝানোর জন্য/ সতর্কতা স্বরুপ বলেছিলাম, “আমাদের কথা বর্তা সাবধানে বলা উচিত। তুমি কথা বার্তা ভেবে চিনতে বলবা। মানুষের মুখের কথার দ্বারাই বৈবাহিক সমস্যা হয়”) এতে কি আমার বিবি অধিকার পেয়েছিল? অথবা এতে কি আমার বিবির উপর কোন শর্ত আরোপ বুঝিয়েছে?

————-উত্তর————-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস’আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা’আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।

অপেক্ষা করুন

0