Answered: শিরক ও তাওবা নিয়ে

১)ধরুন কেউ একজন শিরক করল

এরপর সে তাওবা করবে

কিন্তু যখন ই তাওবা করবে তখন ই তার স্ত্রী কল দিল

সে ভাবল কল না ধরলে স্ত্রীর খারাপ লাগবে

তাই সে তাওবা না করে আগে স্ত্রীর সাথে কথা বলল

এরপর তাওবা করল

এই যে সে স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য শিরক থেকে তাওবা করত্ব দেরি করল এটা কি শিরক?

২)যদি কোনো ব্যাক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা না করে স্ত্রীর জন্যই শুধু দাড়ি রাখে তবে কি শিরক হবে?
যদি কেউ জানে যে দাড়ি রাখলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন,তাও রাখে না

স্ত্রী বলল যদি সে দাড়ি রাখে তবে স্ত্রীর ভালো লাগবে।
এখন সে চিন্তা করল যে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশা নিয়ে,স্ত্রীর সন্তুষ্টিঅর্জনের আশা নিয়ে দাড়ি রাখবে।পরে ভাবল না শুধু স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য দাড়ি রাখবে আর তাই করল।শুধু স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য দাড়ি রাখল।

এটা কি শিরক?

৩)
গায়রে মাখলুক এর প্রতি কিরকম সম্মান প্রদর্শন করব?

আল্লাহর জন্য যেমন সম্মান, আল্লাহর হুকুম,আল্লাহর বাণী,আল্লাহর কাজ ইত্যাদির ব্যাপারে ও কি সেরকম সম্মান ই করব??

৪)একজন নারী আল্লাহর কাছে যেভাবে আত্মসমর্পন করবে,স্বামী কাছেও কি একই রকম ভাবে আত্মসমর্পণ করবে?

এতে কি শিরক হবে না?

————-উত্তর————-

بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

অপেক্ষা করুন

0