আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১. সতরের পর্দা বলতে কি বুঝায় সেটা জানতে চাচ্ছি। আমি আগে ভাবতাম, আমাদের রেগুলার পোশাকের উপর বোরখা পড়াকে সতরের পর্দা বুঝায়। এজন্য যখন কাউকে দেখি বোরখা ব্যতিত বাইরে যায়, ভাবতাম তাদের পর্দা হচ্ছে না। আসলে সতরের পর্দার বিধান কি? যদি কেউ ফুল হাতা ঢিলেঢালা অনাকর্ষণীয় পোশাক পড়ে, সাথে ভালোভাবে হিজাব করে বাইরে বের হয়, তাহলে কি তার সতরের পর্দা হয়ে যাবে?
২. দুর্ঘটনাক্রমে আমার হাসবেন্ডের ৭০ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি কি আমার হাসবেন্ডকে সহযোগিতা করার জন্য পর্দার মাঝে ঘরের বাইরে কোনো কাজ/জব করতে পারব? দোয়া করবেন উস্তাদ যেন আল্লাহ এই ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি দেন।
————-উত্তর————-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে,এক্ষেত্রে এক বা উভয় চক্ষু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সমস্ত শরীর ঢেকে রাখার দ্বারাই পরিপূর্ণ পর্দা হয়। সাধারণ বোরখা দ্বারা সর্বোত্তম ভাবে পর্দা প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে বোরখা ছাড়াও সাধারণ কাপড় দ্বারা যদি কেউ সমস্ত শরীরকে ঢেকে দিতে পারে, তাহলে এদ্বারাও পর্দা হবে।যদিও বোরখা বা এজাতীয় জামা দ্বারা উত্তম রূপে পর্দা হয়।
(২) আপনি আপনার স্বামীকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ঘরে বসে পর্দার সাথে কাজ/জব করতে পারবেন।