Answered: সুন্নাত আমল নিয়ে এবং ইমান

১।আমি মিসকিন হওয়ার দোয়া করি না সেটাতো সুন্নাত দোয়া। এরপর নেক আমল অন্যন্য সুন্নাত, ফরজ ওয়াজিব জায়েজ বা গোনাহ যাই করি না কোন খালি এই দোয়া টা না করার কারনে ধনী হবার দোয়া করার কারনে মনের ভিতর কিরকম জানি হয় রাগ উঠে, খুবই খারাপ কাজ করতেছি কোনো ভাবেই মাথা থেকে শড়ানো যায় না পাত্তা না দিলে আবার কতক্ষণ পরে আবার আসে দুদিন ধরে এরকম হচ্ছে সেটা কি কারনে হয়।
২।সারাদিন ১ নং প্রশ্নের বিষয় গুলো আসার কারনে মিসকিন হওয়ার দোয়া করে ফেলি এখন মনে যদি কবুল হয়ে যায় এই বিষয় টা প্রায় মনে আসে আসলে খারাপ লাগে। খুবই চিন্তিত হয়ে যাই যদি মিসকিন হয়ে যাই অনেক সময় আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উপর রাগ আসে ইচ্ছে করে না অনিচ্ছায় জানিনা?
৩।মিসকিন হওয়ার দোয়া না করার কারনে ধনী হবার দোয়া করতে গেলে তখনই মনে হয় খারাপ কাজ করছি। তারপর মনে রাগ উঠে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নিয়ে একজন কটুক্তি করছে মনে আসে সে ভালো করছে নাউজুবিল্লাহ। বর্তমান অতিতে বা ভবিষ্যতে শাতিম যদি কটুক্তি করে এরকম ভালো করছে নাউজুবিল্লাহ এরকম বিষয় আসে যে কোনো কারনেই মনে আসুক। এগুলোর কারনে কি ইমান চলে যাবে কি?
বিঃদ্রঃ আমি ওসওয়াসা রোগী এগুলো ওসওয়াসার কারনে কি না

————-উত্তর————-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস’আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা’আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।

অপেক্ষা করুন

0