Answered: এই অলংকার ব্যবহার জায়েজ?

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/44340/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,

يَاأَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ

হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮]

,

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সূরা আলি ইমরান ১৩০)

,

হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً

জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)

,

https://www.ifatwa.info/1900  নং ফাতাওয়ায় 

উল্লেখ রয়েছে যে,

অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।

(১) লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।

(২) লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে। কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল, তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।

তবে হারামের আধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী। উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।

(৩) দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে। কোনগুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল, তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।

তবে হালালের আধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী। উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।

(৪) হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না। বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়া দিচ্ছে।

১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।

এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।

,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

উপরোক্ত প্রকারগুলো দেখে আপনার বাবা কোন প্রকারের সম্পদ থেকে আপনাকে হাদিয়া দিয়েছেন তা নির্ণয় করবেন। যদি হারাম সম্পদ থেকে আপনাকে হাদিয়া দিয়ে থাকেন তাহলে এখন উক্ত চেইন ও আংটির মূল্য নির্ধারণ করে অর্ধেক মূল্য গরীবদেরকে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দিলেই হবে ইনশআল্লাহ। অতঃপর উক্ত চেইন ও আংটি আপনার মালিকানায় থাকাতে ও ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। 

,

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/14636/ 

অপেক্ষা করুন

0