”
ফিকির মানে চিন্তা, ভাবনা, দরদ নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক বহিঃপ্রকাশ।উম্মতের ফিকির কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা রাসূল (সা:) এর জীবনাদর্শ থেকে জানা এবং তার সাহাবী, এরপর তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী,সালাফ এবং ইমামগনের জীবনী থেকে আমরা ফিকির সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারি।
আমি বর্তমানে সরকারি চাকুরিতে কর্মরত আছি। প্রতিনিয়ত অফিস করার সময় অনেক এর সাথে কথা পরিচিতি করার প্রয়োজন হয়। সামরিক চাকুরী করার ফলে আমাদের মাঝে সিনিয়ন জুনিয়র এর চেইন অফ কমান্ড আমরা ফলো করে থাকি। আমার দেখা মতে এক স্যার অনেক বেশি রাগী ছিলেন এবং ছোটখাট বিষয় এ অনেক বড় ধরনের শাস্তি দিতেন। সত্যি বলতে আমার কাছে মনে হয় দ্বীনি পরিবেশ এ না থাকতে থাকতে , যত ভালো প্রেকটিসিং মুসলিম ই হোক না কেনো ,পরিবেশ এর কিছু এফেক্ট তার মাঝে এসে পরে। আমাদের অফিস এর সারাদিন এর কর্মবিরতি তে বিনোদন মানেই ছিলো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, অফিস এ আইটেম গান , কে কত বেশি কোন মুভি আনতে পারে এইসব।
– [ ] একদিন আমাদের ঐ স্যার সবাইকে ডাকলেন , আমরা হয়ত ভাবলাম আজকে হয়ত কোনো শাস্তি হবে আমাদের। স্যার তখন আমাদের কে আখিরাতমুখী কিছু কথা বলতে শুরু করলো। জীবন এবং মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করার পর অনেক এর ই হুশ ফিরে উঠলো। এরপর স্যার আস্তে আস্তে কিছু সঙ্গী নিয়ে দাওয়াত এর কাজ শুরু করে দেয়। আলহামদুলিল্লাহ , এখন আমাদের পরিবেশ এর অনেক এই দ্বীন এর পথে ফিরে এসেছে এবং তাদের সবার মনের একটাই চাওয়া কিভাবে একটা ভাই কে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাত এ নেওয়া যায়।
– [ ] আমরা যদি সফলতার সংগা অনেক মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করে থাকি তবে অনেক এর কাছে অনেক উত্তর পাবো। সবার উত্তর মূলত দুনিয়াবী ,অথচ সফলতার সংগা এখন শিখে গিয়েছি “” জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে জান্নাত এ যাওয়াই একজন এর জন্য প্রকৃত সফলতা””
এই যে আশেপাশের মানুষ এর জন্য এত দরদ , ভালোবাসা সব ই আসছে উম্মাতের ফিকির এর জন্য। আমরা আমাদের আশে পাশে আস্তে আস্তে এভাবে পরিবর্তন করলে ইন শা আল্লাহ একদিন পরিবর্তন আসবে।
“