“উম্মতের ফিকির নিয়ে ঘটনা: এক ব্যবসায়ীর গল্প — উম্মতের জন্য কাজ, নিজের জীবনের বরকত-
দুবাইয়ের এক মুসলিম ব্যবসায়ী ছিলেন, যিনি শুরুতে নিজের ব্যবসা, আয়-রোজগার আর আরামদায়ক জীবন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু সময়ের সাথে তিনি অনুভব করেন,
“”আমি তো শুধু নিজের জীবনকে নিয়ে ভাবছি। অথচ আমার আশপাশে লাখো মুসলমান দরিদ্র, গৃহহীন, শিক্ষা-বঞ্চিত।””
তিনি একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন:
“আমি উম্মতের জন্য কিছু করবো — আল্লাহর জন্য।”
তখন তিনি আফ্রিকার দরিদ্র অঞ্চলে মসজিদ ও পানির পাম্প বানাতে শুরু করলেন।
তিনি ছোট ছোট ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন, যেখানে শিশুদের বিনা পয়সায় কুরআন শেখানো হয়।
প্রত্যেক মাসের আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ উম্মতের সেবায় দান করতেন।
এর ফলল আগে তার ব্যবসায় নানান সমস্যা ছিল।প্রজেক্ট আটকে যেত, ক্লায়েন্টদের টাকা আসতো না সময়মতো।
কিন্তু কিছুদিন পর তিনি দেখেন:
ব্যবসায় অদ্ভুত এক গতি আসছে।
আয় বাড়ছে, অথচ প্রচারণা বা কষ্ট তেমন একটা করতে হচ্ছে না।
তার মানসিক প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি বেড়েছে।
তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন:
❝আমি যখন শুধু নিজের জন্য ভাবতাম, তখন জীবনেও সংকীর্ণতা ছিল। কিন্তু যখন উম্মতের জন্য ভাবা শুরু করলাম, তখন আল্লাহ আমার পথগুলো খুলে দিলেন।❞
সুতরাং
🔹 আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সাহায্য করেন, যারা আল্লাহর বান্দাদের সাহায্য করে।
🔹 উম্মতের ফিকির করা মানে শুধু দান নয় — দোয়া, শিক্ষা, ভালোবাসা, সময় — সবই উম্মতের খেদমতের অংশ হতে পারে।
🔹 আল্লাহ কখনো উম্মতের জন্য চিন্তিত বান্দাকে একা ফেলে দেন না।”