“””কল্পনা করুন…একটি সময়, যখন মায়ের কোলে সন্তানকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, শুধু “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার অপরাধে মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে।
হ্যাঁ, এটাই সেই সময়, আইয়ামে জাহেলিয়া!
হিজরী ৬ষ্ঠ বছরে, ১৪০০ সাহাবি নবী ﷺ–এর সাথে মক্কার দিকে যাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য যুদ্ধ নয়, শুধু উমরাহ। তারা ইহরাম বেঁধে এসেছে আল্লাহর ঘর দেখবে বলে।
কিন্তু কুরাইশরা তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে বলল,
“না! মক্কায় ঢুকতে দিবো না।” শুরু হলো দীর্ঘ আলোচনা, কঠিন শর্ত আর কাগজে লেখা এমন সব লাইন, যা মুসলমানদের কাছে অপমানের মতো মনে হলো সাহাবীদের চোখে জল, বুক ভরা কষ্ট। কেউ কেউ ভাবছেন, এ কি পরাজয়?
কিন্তু নবী ﷺ শান্ত কণ্ঠে বললেন, “না, এ পরাজয় নয়। এ হলো বিজয়ের দরজা।”
আর হ্যাঁ, ঠিক সেটাই হলো। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই ইসলাম ছড়িয়ে পড়ল এমনভাবে যে, কেউ একে আর রুখতে পারল না। ১৪০০ সাহাবীর দলটি ১০,০০০ এ দাঁড়ালো নিমিষেই।
এই ঘটনার শিক্ষাঃ
কখনো কখনো যে জিনিস অপমান মনে হয়, সেটিই আল্লাহর দেওয়া বিজয়ের পথ।
শুধু ধৈর্য ধরতে হয়, ঐক্য অটুট রাখতে হয়।
আজকের বাস্তবতাঃ
আজ মুসলিম উম্মতও হুদাইবিয়ার সেই মুহূর্তের মতো,
আমরা নানা চাপের মধ্যে, নানা অপমানে জর্জরিত।
কিন্তু মনে রাখুন, ঐক্য যদি থাকে, ধৈর্য যদি থাকে, তাহলে অন্ধকারের পরই আসবে আলোর ভোর।
মুহাজির-আনসারের ভ্রাতৃত্ব আর হুদাইবিয়ার ধৈর্য,
এটাই উম্মতের জয়ের গোপন রহস্য।”””