“”” ঘটনা: সালমান ফারসী (রাঃ) ও সুওহাইব রূমী (রাঃ) – ভ্রাতৃত্বের নিদর্শন
মদিনায় হিজরতের পর মুহাজির ও আনসারদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। কিন্তু শুধু আরবদের মধ্যেই নয়, ইসলাম এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বেঁধে দিয়েছিল বিভিন্ন জাতি, বর্ণ ও অঞ্চল থেকে আসা মুসলিমদের।
একবার এক ব্যক্তি সালমান ফারসী (রাঃ)-কে (তিনি ছিলেন ইরানি) অবজ্ঞা করে বলল:
“”””তুমি তো আরব নও!””””
তখন সুওহাইব রূমী (রাঃ) (তিনি ছিলেন রোমান বংশোদ্ভূত) বললেন:
“”””আমরা কালের আগে একে অপরকে চিনতাম না, ইসলাম আমাদের ভাই বানিয়েছে। এখন তুমি বংশ-জাতি নিয়ে অহংকার করছো?””””
এই কথায় সেই ব্যক্তিকে থামিয়ে দেওয়া হয় এবং সাহাবীদের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বার্তা ছড়িয়ে পড়ে—ইসলামে জাতি, ভাষা, বর্ণ নয়, বরং তাকওয়া ও ঈমানই হলো আসল পরিচয়।
📘 আল-কুরআনের শিক্ষা:
“”””وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا””””
“”””তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিভক্ত হয়ো না।””””
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৩)”””