“””মুসলিম উম্মাহর ঐক্য নিয়ে কিছু মানুষ চিৎকার করে করে গলা ফাটিয়ে ফেলছে; আর কিছু মানুষ দিনের পর দিন বিভক্তি বাড়িয়েই চলছে!
আমরা যদি শুধু মাত্র ভারতের দিকে তাকাই দেখতে পারবো, যে ভারতের হিন্দু ধর্মালম্বিরা, একেক অঞ্চলের একেকজন আলাদা আলাদা সিম্বলের(উপাস্যের)উপসনা করছে।
কিন্তু দিন শেষে তারা মুসলমানদের কে নিধন করার জন্য একজোট হয়ে, মুসলিমদের অত্যাচার করছে,শুধু মাত্র তারা হিন্দু ধর্মালম্বী এই ঐক্যের ব্যবহার করে।
অথচ আমরা সারাবিশ্বেের মুসলিম এক আল্লাহর ইবাদত করি,একই তাওহীদের সাক্ষ্য প্রদান করি,একই নবী( হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) উম্মত) হয়ে আমাদের মধ্যে কত বিভক্তি, অথচ আমরা মুসলিমদের ঐক্য হওয়ার কথা ছিলো সব চাইতে শক্তিশালী/
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
-নিশ্চয়ই মুমিনগন পরস্পর ভাই ভাই (সুরা,হুজরাত :১০)
রসূল (সাঃ) বলেছেন উনার উম্মতগন একই শরীর, শরীরের কোন অংশ ব্যাথা পেলে যেভাবে সম্পুর্ণ শরীর কষ্ট অনুভব করে,ঠিক একই ভাবে এক মুসলমানের কষ্টে যেন ওপর মুসলমান কষ্ট অনুভব করে।
অথচ আমাদের সেই শরীর আজকে খন্ড বিখন্ড হয়ে, শত ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে।
ফিলিস্তিন, আরাকান, ভারত বিভিন্ন দেশে ইহুদি,মুশরিকদের হাতে মুসলিম অত্যাচারিত হচ্ছে, আর আমরা পরে আছি,সুন্নি, হানাফি, আহলে হাদিস ইত্যাদি দলের বিভক্তি নিয়ে, যেন আজ আমরা অন্ধ হয়ে গেছি।
সমস্ত মুসলিম যদি এক শরীর হয়ে ঐক্য মত হয়ে যায়, কারো ক্ষমতা নেই মুসলমানের উপর জুলুম করার ইনশাআল্লাহ!
> আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করলে কেউই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না। আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে তিনি ছাড়া আর কে আছে, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? এবং বিশ্বাসিগণের উচিত, কেবল আল্লাহরই উপর নির্ভর করা। (সূরা ইমরান:১৬০
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কতটা জরুরি কবে বুঝব আমরা!
* একজন মুসলিম অপর মুসলিমের শত্রু হতে পারেনা!
* যারা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারাই মুসলমানদের শত্রু!
*যে আল্লাহ এবং তার রাসূলের বিরোধিতা করে, সে ই মুসলমানদের শত্রু!
আল্লাহর সাহায্যকে যেমন তুচ্ছ ভাববেন না, তেমনই আল্লাহর শাস্তিকেও তুচ্ছ ভাববেন না!
উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে, জনপ্রিয় একটি ইসলামিক পত্রিকার আর্টিকেলের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো
মুসলিম উম্মাহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরয। তেমনি সুন্নাহর অনুসরণ তথা আল্লাহর রাসূলের শরীয়ত এবং তাঁর উসওয়াহ ও আদর্শকে সমর্পিত চিত্তে স্বীকার করা এবং বাস্তবজীবনে চর্চা করা তাওহীদ ও ঈমান বিল্লাহর পর ইসলামের সবচেয়ে বড় ফরয।
সুতরাং সুন্নাহর অনুসরণ যে দ্বীনের বিধান উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষা এবং বিভেদ ও অনৈক্য থেকে বেঁচে থাকাও সেই দ্বীনেরই বিধান। এ কারণে এ দুইয়ের মাঝে বিরোধ ও সংঘাত হতেই পারে না। সুতরাং একটির কারণে অপরটি ত্যাগ করারও প্রশ্ন আসে না। কিন্তু এখন আমরা এই দুঃখজনক বাস্তবতার সম্মুখীন যে, হাদীস অনুসরণ নিয়ে উম্মাহর মাঝে বিবাদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রশ্নে মুজতাহিদ ইমামগণকে এবং তাদের সংকলিত ফিকহী মাযহাবসমূহকে দায়ী করা হচ্ছে। অথচ ফিকহের এই মাযহাবগুলো হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর বিধিবিধানেরই ব্যাখ্যা এবং তার সুবিন্যস্ত ও সংকলিত রূপ। মূলে তা ফকীহ ও মুজতাহিদ সাহাবীগণের মাযহাব, যা উম্মাহর অবিচ্ছিন্ন কর্মপরম্পরা তথা তাওয়ারুছের মাধ্যমে চলে এসেছে।
এই অবস্থা প্রমাণ করে, আমাদের অনেকে সুন্নাহ অনুসরণের মর্ম ও তার সুন্নাহসম্মত পন্থা এবং সুন্নাহর প্রতি আহবানের সুন্নাহসম্মত উপায় সম্পর্কে দুঃখজনকভাবে উদাসীন। তদ্রূপ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির সঠিক উপলব্ধি এবং ঐক্যবিনাশী বিষয়গুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ভ্রান্তি ও বিভ্রান্তির শিকার।
আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিম জাতিকে ঐক্য গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন, আমিন
“””