জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এভাবে কাউকে আঘাত করা নাজায়েজ।
এতে আঘাতপ্রাপ্ত লোকটি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(০২)
উভয় পক্ষ রাজি থেকে উক্ত কাজ করলে এটি জায়েজ আছে।
(০৩)
এতে যদি আপনারা কষ্ট পান তাহলে তাদের গুনাহ হবে।
(০৪)
যাকাত থেকে বাঁচার লক্ষ্যে যদি এমনটি করা হয়, তাহলে এতে ধোকা দেওয়ার গুনাহ হবে।
তদুপরি ডায়মন্ড কেনার আগ পর্যন্ত তার মালিকানায় যেসব টাকা থাকবে, সেসব টাকার এবং অন্যান্য যাকাত যোগ্য সম্পদের তো তাকে প্রতিবছরের যাকাত দিতেই হবে।
এবং ডায়মন্ড বিক্রয় করার পর যে টাকা সে পাবে, পরবর্তী প্রত্যেক বছর সে টাকাগুলোর যাকাত প্রদান করতে হবে,পাশাপাশি তার কাছে অন্যান্য যাকাত যোগ্য সম্পদ থাকলে সেটিরও যাকাত দিতে হবে।
(০৫)
নেসাব পরিমাণ সম্পদ ১ বছর থাকলে সেগুলোর যাকাত দেওয়ার পরও যদি সম্পদ নেসাব পরিমাণই থাকে। তাহলে আরও ১ বছর পর সেই সম্পদের আবার যাকাত দিতে হবে।
এভাবে প্রতি বছর তাকে যাকাত দিতে হবে।
যতবছর নেসাব পরিমান সম্পদ থাকবে,প্রত্যেক বছরেই যাকাত দিতে হবে।
যেমন: ২ লাখ টাকার যাকাত ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা থাকে। আরও ১ বছর অতিক্রম হলে আবার এই ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার উপর যাকাত দিতে হবে।
পরবর্তী বছর অবশিষ্ট টাকার উপর যাকাত দিতে হবে।
তার পরবর্তী বছর অবশিষ্ট টাকার উপর যাকাত দিতে হবে।
যতদিন নেসাব পরিমান সম্পদ থাকবে,এভাবে যাকাত চলতেই থাকবে।
(০৬)
কেউ হাঁচি দিলে এরপর যদি আলহামদুলিল্লাহ বলতে শুনেন, তবেই হাঁচির জবাব দিতে হবে।
(০৭)
কাপড়ে হালকা সাদা স্রাব লাগলে সেই কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
যদি সাদা স্রাব লাগার পর শুকিয়ে যায় তখনও সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে না।
তবে যদি কাপড়ে লাগা সেই সাদা স্রাব এক দিরহাম থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে সেই কাপড়ে নামাজ হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-