বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وَكَذَا لَوْ لَفَّ الثَّوْبَ النَّجَسَ فِي ثَوْبٍ طَاهِرٍ وَالنَّجَسُ رَطْبٌ مُبْتَلٌّ وَظَهَرَتْ نَدْوَتُهُ فِي الثَّوْبِ الطَّاهِرِ لَكِنْ لَمْ يَصِرْ بِحَالٍ لَوْ عُصِرَ يَسِيلُ مِنْهُ شَيْءٌ مُتَقَاطِرٌ لَا يَصِيرُ نَجَسًا. اهـ
যদি ভিজা নাজাসত সম্ভলিত কাপড়কে পবিত্র কাপড়ের সাথে লেপ্টিয়ে দেয়া হয় বা ভাজ করা হয়,এবং শুকনা কাপড়ে নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়,যদি শুকনো কাপড় এমন পর্যায়ে পৌছে না যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।(আল-বাহরুর রায়েক-১/২৪৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7947
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঘরে মোছার সময় ভেজা কাপড় ব্যবহার করার পর সেই ভেজা কাপড় পাক কাপড় বা শরীরে লাগলে, এতে করে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।
(২) ফরজ গোসল ব্যতীত সুন্নাত, মুস্তাহাব বা সাধারণ সময়ের গোসলের ক্ষেত্রে একই নিয়ম জরুরী নয়। তবে করে নেওয়া উচিত।
(৩) বর্তমান বাসাগুলোতে টয়লেট ও গোসলখানা একই সাথে থাকে। এখন টয়লেট ব্যাতীত অন্য কোন কাজ যেমন কাপড় ও হাত মুখ ধোঁয়া ইত্যাদির জন্য প্রবেশ করলেও দোয়া পড়া উচিত। বাথরুমে প্রবেশের পূর্বেই দুআ করতে হবে। কেননা প্রবেশের পূর্বে শয়তান থেকে পানাহ চাওয়া হয়।